পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণ্ডুক্যোপনিষৎ Ve A চেন্তোমুখঃ প্ৰাজ্ঞস্তৃতীয়ঃ পাদঃ । ৫ । যে সময়ে স্বপ্ন না দেখা যায় এবং কোনো কামনা না থাকে। সেই সমযকে সুমুপ্তি অবস্থা কহি সেই অবস্থার অধিষ্ঠাতা যে চৈতন্যস্বরূপ আত্মা তাহাকে সুষপ্তিস্তান এই শব্দে কহিয়াছেন। জাগরণ এবং স্বপ্নাবস্থাতে প্ৰপঞ্চময় বিশ্বেব পৃথক পৃথক বোধ থাকে কুঙ্গাসাতে যেমন নানা আকারবিশিষ্ট বস্তু সকল একাকাবে প্রতীত হয় সেইৰূপে ওই বিশ্ব সুষপ্তি অবস্থাতে একীভূত হইয়া থাকে। অতএব সুষপ্তির অধিষ্ঠাতাকে একীভূত শব্দে কহি । নানা প্ৰকার বস্থর নানা প্ৰকার যে জ্ঞান তাহা মিশ্রিতের ন্যান্য হইয়া সুমৃপ্তি কালে থাকে এ নিমিত্ত সুমাপ্তির অধিষ্ঠাতাকে প্ৰজ্ঞানঘান শব্দে কহা যায় অর্থাৎ সে অবস্থায় জাতি গুণ ক্রিয়া ইত্যাদির পৃথকৃ২ জ্ঞান থাকে না । বিষয় অনুভবের দ্বারা যে ক্লেশ তাহা সুপ্তি অবস্থায় থাকে না। এ নিমিত্তে সুমপিপ্তর অধিষ্ঠাতাকে আনন্দময় অর্থাৎ আনন্দ প্রচুর কহি । আয়াসশান্য চেষ্টয়া থাকিলে যেমন ব্যক্তি সকল সুখী কচায় সেইকাপ আযাসম্পূন্য যে সুষপ্তিব অধিষ্ঠাতা তাহাকে আনন্দন্তুক অর্থাৎ সুখেব ভোক্তা কহা যায়। স্বপ্ন এবং জাগরণ এই তই অবস্থার চৈতন্যের দ্বার সুষুপ্তির অধিষ্ঠাতা হয়েন এনিমিত্ত ঠাহাকে চোতোমথ অর্থাৎ চেতনের দাবী কহিত। জাগরণাপেক্ষা ও স্বপ্নাপেক্ষা সুষপ্তি অবস্থার অধিষ্ঠাতার নিবন্ধপাধি জ্ঞান হয় এনিমিত্ত তাহাকে প্ৰাজ্ঞশব্দে কতেন । ৫ । এখন ঐ তিন অবস্থা শুন্য যে তুরীয় পরমাত্মা তঁহাকে তৃতীয় অবস্থার অধিষ্ঠাতাব সহিত অভেদ রূপে কহিতেছেন । এষ সৰ্বেশ্বর এষ সর্বজ্ঞঃ এমোহন্তৰ্যাম্যেষ যোনিঃ সৰ্ব্বস্ত প্রভাবাপ্যয়ৌ হি ভূতানাং । ৬ । এই তৃতীয় অবস্থার অধিষ্ঠাতা যে পরমাত্মা তেঁহ তাবৎ বিশ্বের ঈশ্বর হয়েন ঐ পরমাত্মা সর্বত্র ব্যাপিয়া সকল বস্তুকে বিশেষ রূপে জানেন ঐ পরমাত্মা সকলের অন্তরে স্থির হইয়া সকলের নিয়মকর্তা হয়েন তেঁহ সকলের উৎপত্তির কারণ এবং বিশ্বের উৎপত্তি ও লয় তাহা হইতেই হয়। ৬ । এখন সাক্ষিীশ্বরূপ তুরীয়কে কহিতে প্ৰবৰ্ত্ত