পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VNV রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । এইরূপে পরিস্কৃত গৃহের মধ্যে বিষ্ঠা মূত্ৰাদি ত্যাগ করিতেন চৌৰ্য্য কৰ্ম্ম করিয়াও সাধুর ন্যায় প্ৰসন্ন রূপে থাকিতেন। ২৪। শ্ৰীকৃষ্ণ গোপীদিগ্যের বস্ত্ৰ হরণ পূর্বক বৃক্ষারোহণ করিয়া গােপীদের প্রতি কহিতেছিলেন যদি তোমরা আমার দাসী হও এবং আমি যাহা বলি তাহ কর তবে তোমরা হাস্য বদনে আমার নিকট ওই রূপ বিবস্ত্ৰে আসিয়া বস্ত্ৰ গ্ৰহণ করা। ১২। নৃত্যের দ্বারা দুলিতেছে যে কুণ্ডলদ্বয় তাহার শোভাতে ভূষিত হইয়াছে যে আপন গণ্ড সেই গণ্ডকে শ্ৰীকৃষ্ণের গণ্ডদেশে অৰ্পণ করিতেছেন এমন যে কোনো গোপী তাহার মুখ হইতে শ্ৰীকৃষ্ণচর্বিত তাম্বুল গ্ৰহণ করিাতেন। ১৪ । বেদান্তের কোন শ্রুতিব এবং কোন সূত্রের অর্থ এই সকল সর্বলোক বিরুদ্ধ আচরণ হয়। ইহা বিজ্ঞলোক পক্ষপাত ত্যাগ করিয়া কেন না বিবেচনা করেন। অধিকন্তু কৃষ্ণনাম তার তাহার অন্য অন্য প্ৰসিদ্ধ নাম ও ঊর্তাহার রূপ ও গুণ বৰ্ণনেতে শ্ৰীভাগবত পরিপূর্ণ হইয়াছেন। কিন্তু বেদান্ত সূত্ৰে প্ৰথম অবধি শেষ পৰ্য্যন্ত কৃষ্ণ নাম কি কৃষ্ণের কোনো প্ৰসিদ্ধ নামের লেশো নাই সুতরাং তাহার কােপ গুণ বৰ্ণনের সহিত বিষয় কি অতএব যাহার সামান্য বোধ আছে এবং পক্ষপাতে নিতান্ত মগ্ন না হইয়া থাকে। সে অবশ্য জানিবেক যে যে গ্ৰন্থ র্যাহার উদ্দেশে হয় তাহাতে সেই দেবতার অথবা সেই ব্যক্তির প্রসিদ্ধ নাম ও গুণের বর্ণন বাহুল্য রূপে অবশ্য থাকে। কিন্তু সর্বপ্রকারে তাহার নাম গুণ বৰ্ণন হইতে শূন্য হয় না। অতএব সেই সকল বিবেচনার দ্বারা নিশ্চয় হইতেছে যে বেদান্ত সূত্রের সহিত শ্ৰীভাগবতের সম্পর্ক মাত্ৰ নাই। যদি বল বৈষ্ণব সংপ্ৰদায় কেহ কেহ কেবল বুৎপত্তি বলের দ্বারা অক্ষর সকলকে খণ্ড খণ্ড করিয়া বেদান্ত শাস্ত্রকে স্পষ্টার্থের অন্যথা করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ পক্ষে এবং তাহার রাস ক্রীড়াদি লীলাপক্ষে বিবরণ করিয়াছেন । উত্তর। সেই রূপে শৈব সকল ঐ বেদান্ত সূত্ৰকে বুৎপত্তি বলের দ্বারা শিবপক্ষে ও তাহার কোচবিধুর সহিত লীলা