পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোস্বামীর সহিত বিচার । WeSRS পঞ্চবিংশতি৷ বিষ্ণুপুরাণে। ব্ৰাহ্মণ পাদ্মং বৈষ্ণবঞ্চ শৈবং ভাগবতং তথা । ইত্যাদি বচনে শ্ৰীভাগবতকে সৰ্ব্বদা পঞ্চম করিয়া কহেন। দশম । যদি বল ভাগবতের শেষে অন্য পুরাণ হইতে শ্ৰীভাগবতকে প্রধান করিয়া কহিয়া, ছেন। উত্তর। কেবল ভাগবতের শেষে ভাগবতকে সর্বোত্তম করিয়া কহিয়াছেন এমত নহে বরঞ্চ প্ৰত্যেক পুরাণের শেষে ঐ কাপে সেই সেই পুরাণকে অন্য হইতে প্ৰধান করিয়া কহিয়াছেন। শ্ৰীভাগবত । নিম্নগানাং যথাঁ গঙ্গা দেবানামচুতে যথা। বৈষ্ণবানাং যথা শস্তৃঃ পুরাণানমিদং তথা । অর্থাৎ শ্ৰীভাগবত সকল পুরাণের শ্রেষ্ঠ হয়েন। ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত । প্ৰাণাধিক যথা রাধা কৃষ্ণস্য প্ৰেয়সীষ চাঁ। ঈশ্বরীষু যথা লক্ষ্মীঃ পণ্ডিতেষু সরস্বতী। তথা সৰ্ব্বপুৰাণেষু ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তমেব চ। অর্থাৎ বাহ্মবৈবৰ্ত্ত সকল পুরাণের শ্রেষ্ঠ প্ৰয়েন । এই রূপ প্ৰশংসার দ্বারা অন্য অন্য পুবাণের অপ্ৰাধান্য তাৎপৰ্য্য প্রাইলে পুরাণ সকল পরস্পর অনৈক্য হইয়া কোনো পুরাণের প্রামাণ্য থাকে না। অতএব ইহার তাৎপৰ্য্য প্ৰশংসামা এ কিন্তু অন্য পুরাণের খণ্ডন তাৎপৰ্য্য নহে । অধিকন্তু এস্থলে এক জিজ্ঞাস্য এই যে যদি বেদ বেদান্ত শাস্ত্ৰ কঠিন বচনা এবং দুজ্ঞেয়ত্ব প্ৰযুক্ত আপনকার মতে অবিচারণীয় হয়েন তবে শ্ৰীভাগবত যাহাকে বেদ বেদান্ত হইতে ও কঠিন এবং দুজ্ঞেয় দেখা যাইতেছে তেঁহ কিরূপে বিচারণীয় হইতে পারেন । আপনি পঞ্চম পত্রে লিখেন এই যে “ত্বঞ্চ রুদ্র মহাবাহাে মোহনার্থাং সুরদ্বিষাং । ইত্যাদি অনেক বচন পরে আজ্ঞপ্ত ভগবান শিব শিবার প্রতি কঠিয়াছেন। বেদবাহানি শাস্ত্ৰাণি সম্যগুক্তিং ময়াহনঘে ৷ ইত্যাদি অনেক বচন পরে ৷ ব্ৰহ্মণোহন্ত পরং রূপং ক্লিপ্তকং বক্ষ্যতে ময়া। সৰ্ব্বস্ত জগতোেহপ্যন্ত মোহনায় কলেী যুগে ৷ এ সকল বচন দ্বারা এই প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে পুর্ব পূর্ব যুগে অনুর মোহনের নিমিত্ত ভগবান শিব নানা প্রকার পাশুপতাদি শাস্ত্ৰ করিয়াছেন। এবং কলিযুগে আপনি শ্ৰীমদাচাৰ্য রূপে অবতীর্ণ হইয়া ভাস্থ্যাদি শাস্ত্ৰদ্বারা