পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VNOo রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । ব্ৰহ্মের পরংরািপ অর্থাৎ আকার লিপ্তক অর্থাৎ অলীক ইহা প্ৰতিপন্ন করিয়া জগতের আসুর স্বভাব লোক সকলকে মোহযুক্ত করিলেন অতএব আচাৰ্য্য সর্বজ্ঞা হইলেও ‘তাঁহারকৃত ভাষ্য দ্বারা ব্ৰহ্ম সুত্রের যাথার্থ্য আচ্ছাদিত হয় কি না।” ইহার উত্তর। এ সকল বচন যদ্যপিও সমূল হয় তত্ৰাপি ইহার দ্বারা ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্যের কৃত ভাষ্য অলীক হয় এমৎ কদাপি প্ৰতিপন্ন হইতেছে না। কিন্তু এই মাত্ৰ প্ৰমাণ হয় যে যদি বেদবাহা কোনো শাস্ত্ৰ ভগবান মহেশ্বর করিয়া থাকেন এবং ব্ৰহ্ম স্বৰূপকে যদি কোনো স্থানে বেদোক্তের বিপরীত করিয়া কহিয়া থাকেন তবে সে অসুরদিগ্যের মোহনাৰ্থ বটে। আর যদি ঐ বচনকে প্ৰমাণ করিয়া এমৎ বল যে মহেশ্বর কৃত তাবৎ শাস্ত্ৰ অপ্ৰমাণ হয় তবে তান্ত্রিক দীক্ষা যাহা শাক্ত শৈব, বৈষ্ণব প্রভৃতি সকলে এদেশে আশ্ৰয় করিয়া উপাসনা করিতেছেন তাহা মিথ্যা হইয়া সম্যক প্রকারে ওই উপাসনাকে নিবর্থক স্বীকার করিতে হয়। অথচ শাস্ত্ৰে কহিমাছেন যে কালতে তন্ত্রোক্ত মতে দেবতার উপাসনা করিবেক । আগমোক্তাবধানেন কলীে দেবান যজেৎ, সুধীঃ । যেহেতু ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসা রহিত ব্যক্তিদের ঐ রূপ তন্ত্রোক্ত উপাসনার দ্বারা কলিতে চিত্তশুদ্ধি হইলে পরে ব্রহ্মজিজ্ঞাসার সম্ভাবনা হয়। আর অমূলক কিম্বা সমূলক ঐ বচনের অবলম্বন করিয়া শিবেক্ত তাবৎ শাস্ত্ৰকে মিথ্যা আর মহেশ্বরকে প্ৰতারক করিয়া যদি বৈষ্ণবের কাহেন তবে তন্ত্র বচনে নির্ভর করিয়া তান্ত্রিকেরা পুরাণ সকলকে মিথ্যা এবং বিষ্ণুকে প্রতারক করিয়া কহিলে কি করা যায় ইহাতে কেবল পুরাণ এবং তন্ত্রের পরস্পর বিরোধে কোনো শাস্ত্রের প্রামাণ্য থাকে না এবং শিব বিষ্ণুর প্রতারকত্ব উপস্থিত হইয়া চাতুৰ্বর্ণের ধৰ্ম্ম লোপ হয়। যথোক্তং কুলাবলী তন্ত্রে। বেদা বিনিন্দিতা যম্মাৎ বিষ্ণুনা বুদ্ধরূপিণী। হরেনাম ন গৃহীয়াৎ ন স্পশেন্তুলসীদলং। ন স্প শেৎ তুলসীপত্ৰং শালগ্ৰামাঞ্চ নাৰ্চয়েৎ ৷ এ সকল বচন যদিও সমুল হয় তবে