পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V\Or রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । য়াছে। সৌষ্ণুপ্তিকে। প্রাদুরাসন হৃষীকেশাঃ শতশোহথ সহস্রশঃ । মহাদেব হইতে শত শত সহস্ৰ সহস্ৰ হৃষীকেশ উৎপন্ন হইয়াছেন । দানধৰ্ম্মে । ব্ৰহ্মাবিষ্ণুসুরেশানাং স্রষ্টা যঃ প্ৰভুৱেব চ।। ব্ৰহ্মা বিষ্ণু আর সকল দেবতার সৃষ্টিকৰ্ত্তা প্ৰভু মহাদেব হয়েন। নির্বাণ। গোলোকাধিপতির্দেবি স্তুতিভক্তিপরায়ণঃ । কালীপদ প্ৰসাদেন সোহভবল্লোকপালকঃ ৷ কালিকার স্তুতিভক্তিতে রত যে গোলকাধিপতি কৃষ্ণঃ তেঁহ কালীপদ প্ৰসাদোতে লোকের পালন কৰ্ত্তা হয়েন । ৭ পত্রে লিখিয়াছেন যে চিন্ময়স্তাদ্বিতীয়স্য নিষ্কালস্তাশারীরিণঃ। উপাসকানাং কাৰ্য্যাৰ্থং ব্ৰহ্মণো রূপকল্পনা। এ বচনের তাৎপৰ্য্য এই যে সূক্ষ্মীরূপের অর্থাৎ চিন্ময় চতুভূজাদি আকারের ধ্যানের নিমিত্ত প্ৰতিমা করা যায় এবং পাতালমেতস্য হি পাদমূলং ইত্যাদি ভাগবতের শ্লোক যাহাতে বিশ্বসংসাবকে পৰমেশ্বরের কল্পিতরূপ কহিয়াছেন সেই সকল শ্লোককে ইহার প্রমাণ দেন। উত্তর। আশ্চৰ্য্য এই যে আপনকার বক্তব্য হইয়াছে এই যে পাষাণাদি নিৰ্ম্মিত প্ৰতিমা তাহা ঈশ্বরের কল্পিত রূপ { হয় ইহাই এ বচনের তাৎপৰ্য্য। কিন্তু প্ৰমাণ দেন যে সমুদায বিশ্ব পরমেশ্বরের কল্পিত রূপ হয়। অতএব আপনার বক্তব্য এক প্ৰকাব আর প্রমাণ অন্য প্ৰকার হয়। কিন্তু ভাগবতের শ্লোকের যে তাৎপৰ্যা তাহা যথাৰ্থ বটে আব্ৰহ্মাস্তম্বপয্যন্ত যে বিশ্ব তাহ প্ৰপঞ্চমীয় কাল্পনিক হয় কেবল সদ্ৰপ পরমাত্মার আশ্রযে সত্যের ন্যায় অবস্থিতি করিতেছে ঐ প্ৰপঞ্চময় বিশ্বের মধ্যে পাষাণাদি এবং পাষাণাদি নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি ও যে যে শরীরের ঐ সকল মূৰ্ত্তি হয় সে সকলেই ঐ কাল্পনিক বিশ্বের অন্তৰ্গত হয়েন কিন্তু ঐ সকল মূৰ্ত্তি ও প্রতিমূৰ্ত্তি প্রভৃতি কালে জন্মিতেছেন এবং কালে নষ্ট হইতেছেন। ইহার প্রমাণ ঈশোপনিষদের ভূমিকাতে বাহুল্যরূপে পাইবেন আর এস্থলে এক জিজ্ঞাস্ত এই যে চিন্ময়ন্ত ইত্যাদি শ্লোকের প্ৰসিদ্ধ শব্দ হইতে এই অর্থ স্পষ্টরূপে নিম্পন্ন হইতেছে যে জ্ঞানস্বরূপ দ্বিতীয়