পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৫৮

Voy ब्रांश्न ब्रांप्रुद्ध थछ्वळी । মনু ২ অধ্যায়ে আচাৰ্য্য লক্ষণে লিখেন। উপনীয় তু যঃ শিষং বেদমধ্যপয়েদ দ্বিজ । সকল্পং, সরহস্তঞ্চ তমাচাৰ্য্যং প্ৰচক্ষতে। যে ব্ৰাহ্মণ শিষ্যকে যজ্ঞোপবীত দিয়া যজ্ঞ বিদ্যা ও উপনিষৎ সহিত বেদকে পাঠ করান। তঁহাকে আচাৰ্য্য শব্দে কহা যায়। রহস্য শব্দ উপনিষদের প্রতিপাদক হয়। ইহা কুলক ভট্টের টীকাতে লিখেন। অধিকন্তু শাস্ত্রশব্দে সমগ্ৰ চারি বেদ ও সমুদায় দর্শন ও সকল স্মৃতি ও পুরাণ ও উপপুরাণ এবং সংহিতাদি ও অনন্ত কোটি আগম বুঝায়। এসকল না পড়িলে বেদান্ত পাঠে যদি অধিকার না হয় তবে বেদান্ত পাঠের প্রায় সম্ভাবনা থাকে না বিশেষত কলির মনুষ্য প্ৰায় শতায়ার অধিক হয়েন না। ওই সকল শাস্ত্রের যৎকিঞ্চিৎ পড়িতেই মৃত্যু উপস্থিত হইবেক বেদান্ত পাঠের সুতরাং সম্ভাবনা না হয়। অথচ প্রত্যক্ষ দেখিতেছি যে ভগবান ভাষ্যকাবের পূর্বে এবং পরে এপর্য্যন্ত উপনিষদ রূপ বেদান্ত ও তাহার বিবরণ বেদব্যাসকৃত সুত্রের পাঠ অনে কেই কবিয়া আসিতেছেন এবং অনেকেই কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন কবিতাকার পরমেশ্বরের উপাসনা হইতে লোককে নিবৃত্ত করাতে কি ফল দেখিয়াছেন যে এরূপ শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ ও যুক্তিবিরুদ্ধ কথার উল্লেখ করিয়া পরমার্থ সাধনে লোককে নিরুৎসাহ করিতে চেষ্টা পান। ওই প্রথম পৃষ্ঠের ১২ পংক্তি অবধি ব্যঙ্গে জানাইয়াছেন যে বেদের প্রথম ভাগ না পড়িয়া বেদান্ত পড়িলে বিড়ম্বন হয়। অতএব মুকুন্দরাম ভট্টাচাৰ্য্য প্রভৃতি অনেকে প্ৰথম কাণ্ডের পাঠ বিনা বেদান্ত পাঠের দ্বারা বিড়ম্বিত হইয়াছেন। উত্তর । কবিতাকার দ্বেযেতে মগ্ন হইয়া আপনার পূর্বাপর বাক্যের অত্যন্ত বিরোধ হয় তাহা বিবেচনা করেন না যেহেতু কবিতাকার ২০ পৃষ্ঠে ১৬ পংক্তি অবৃদ্ধি আপনিই * লিখেন যে এদেশে অদ্যপি বেদের ব্যবসা আছে সুৰ্য্যোপস্থান ও গায়ত্রীর অর্থ অনেকে জানেন এবং আর আর শাখাসুক্তি কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ জানেন এতএব, এ দেশের ব্ৰাহ্মণের বেদিহীন নহেন। যথুপি সুৰ্য্যোপস্থান ও