পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৯২

Vb&R রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী সময় বৰ্ণাশ্রমাচার কর্তব্য হয়। কিন্তু এস্থলে আমারদিগের বিশেষ করিয়া লেখা আবশ্যক যে বৰ্ণাশ্রমাচার ব্যতিরেকেও ব্ৰহ্ম জ্ঞানের সাধন হয়। অন্তরা চাপি তু তদ্দাষ্ট্রেঃ ॥ বেদান্ত সুত্রে ৩ অধ্যায়ে ৪ পাদে ৩৬ সুত্রের ভাষ্যে ভগবান পূজ্যপাদ প্রথমতঃ আশঙ্কা করেন যে তবে কি বৰ্ণাশ্রমাচারের অনুষ্ঠান বিনা ব্ৰহ্ম জ্ঞান সাধন হয় না ? পরে এই সুত্রের ব্যাখ্যায় সিদ্ধান্ত করিলেন যে বর্ণশ্রমাচার বিনাও ব্ৰহ্মজ্ঞানের সাধন হয়। রৈক্য প্রভৃতি বর্ণাশ্রণাচারের অনুষ্ঠান না করিয়াও ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছেন। তুল্যস্তু দর্শনং৷ বেদান্তসুত্ৰং ॥ যেমন কোন কোন জ্ঞানি কৰ্ম্ম এবং জ্ঞান উভয়ের অনুষ্ঠান করিয়াছেন সেইরূপ কোন কোন জ্ঞানি কৰ্ম্ম ত্যাগ পূর্বক জ্ঞানের অনুষ্ঠান করিয়া Cछ० । তবে বেদান্ত সুত্রের ৩ অধ্যায়। ৪ পাদে ৩৯ সূত্ৰে বৰ্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম ত্যাগী যে সাধক তাহা হইতে বৰ্ণাশ্রম বিশিষ্ট যে সাধক তাহাকে শ্রেষ্ঠ করিয়া কহিয়াছেন ৷ ইতি প্ৰথমখণ্ডং । এখন ভট্টাচাৰ্য্য বেদান্তচন্দ্ৰিকাতে যে সকল যোগ্যাযোগ্য প্রশ্ন লিখিয়াছেন, তাহার উত্তর এক প্রকার দেওয়া যাইতেছে। তিনি প্রশ্ন করেন যে “যদি বল আমি তাদৃশ বটি তবে তুমি যাহারদিগকে স্বীয় আচরণ করণে প্ৰবৰ্ত্তাইতেছি, তাহারাও সকলে কি বামদেব কপিলান্দির প্ৰায় মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হইয়াই ব্ৰহ্ম সাক্ষাৎকারবান হইয়াছে ?” ইহার উত্তর, পূৰ্বপূর্ব যোগিদিগের তুল্য হওয়া আমারদিগের, দূরে থাকুক, ভট্টাচাৰ্য্য যে রূপ সৎকৰ্ম্মান্বিত তাহাও আমরা নহি; কেবল ব্ৰহ্মজিজ্ঞাসু, তাহার্ডে যে রূপ কৰ্ত্তব্য শাস্ত্ৰে লিখিয়াছেন তাহার সমাৰু অনুষ্ঠানেও অপটু