পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়ভাষা ব্যাকরণ। Գ8ֆ অথবা অধিকরণকে জানায়, যেমন হাতভাঙ্গা ব্যক্তি (সংস্কৃতে ইহার প্ৰতিশব্দ ভগ্নহস্তঃ ) এস্থলে হাত অভিহিত পদ, ভাঙ্গা কৰ্ম্ম পদ হয়। কিন্তু এমত স্থলে যেমন হাড় কাটা ছুরি, কাটা এই শব্দ কৰ্ম্মপদের ন্যায় হইয়াও ক্রিয়ার কৰ্ত্তাকে বুঝাইতেছে, আর হাড়শব্দ অভিহিত পদের ন্যায় হইয়াও কৰ্ম্মকে জানাইতেছে, অর্থাৎ হাড়কে কাটে যে ছুরী, (সংস্কৃতে জাড় কাটার প্ৰতিশব্দ অস্থিচ্ছেদী ) সেই রূপ গাছপাকা এস্থলে দ্বিতীয় পদ পাকক্রিয়ার কর্তাকে কহে, আর প্রথম পদ অভিহিতের ন্যায় হইয়াও অধিকরণকে বুঝায়, অর্থাৎ গাছে পাকে যে ফল (সংস্কৃতে ইহার প্রতিশব্দ বৃক্ষপকং) ইত্যাদি । দ্বিতীয় । দুইয়ের প্রথম শব্দ প্রভিহিত পদের ন্যায় হইয়াও সম্বন্ধ কিম্বা অধিকরণের অর্থকে বুঝায়, আর দ্বিতীয় পদ অভিহিত পদের অর্থবোধক হইয়াও একারে ওকারে কিম্বা আকারো পৰ্য্যবসান হয় ; যেমন তালপুকুরে, অর্থাৎ তাল বেষ্টিত পুষ্করিণী (সংস্কৃতে তালপুষ্করিণী) কাণতুলসে, কাণে তুলসী যাহার, অর্থাৎ আপনাকে ধাৰ্ম্মিক জানাইবার নিমিত্ত যে কাণে তুলসী দেয় (সংস্কৃতে তুলসীকৰ্ণ: ) বানর মুখো, বানরের ন্যায় মুখ ( সংস্কৃতে বানরমুখঃ) মুখচোরা, মুখেতে চোর, অর্থাৎ সভায় আলাপে অপটু (সংস্কৃতে সভাকুৰূঃ) কোন কোন স্থলে সমাস হইয়া দুই পদের মধ্যে কোন শব্দের অধ্যাহার হয়, যেমন ঘরপাগলা, ঘরের নিমিত্তে পাগল (সংস্কৃতে গৃহোন্মত্তাঃ) এখানে নিমিত্ত শব্দের অধ্যাহার হইয়াছে। সোনামোড়া, অর্থাৎ সোণ দিয়া মোড়া (সংস্কৃতে স্বর্ণমণ্ডিতঃ) একার ওকার আকারে যাহার। পৰ্য্যবসান হয় তাহার ভুরি শব্দের স্ত্রীত্ব করিতে অন্তে ঈকারের যোগ হয়, যেমন বানরমুখী, ঘরপাগলী, ইত্যাদি।