পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৮০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮১৪ রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী ॥৮৫ ঘূণার বিষয় যে অত্যন্ত মিথ্যাবান্দিরাও পরের মিথ্যা শুনিয়া নিন্দ করে। দেখ যাহারা মিথ্যা কহে তাহারদিগের দুই প্ৰকার দৌর্ভাগ্য, এক এই যে মিথ্যাবাদী যদি সত্য কহে, তন্ত্ৰাপি কেহ প্ৰত্যয় করে না । দ্বিতীয় এই যে আপনারদিগের একটি মিথ্যা স্থির রাখিবার জন্যে তাহাকে অনেক মিথ্যা দিয়া সাজাইতে হয়, ইহার অধিক বা আর প্রবঞ্চনা কি আছে ? এক ব্যক্তি কহিয়াছেন, যে আমার সাত বৎসর বয়ঃক্রমের সময় আম হইতে বয়েসে বড়, এমন আর দুই জনের সহিত আমি পাঠশালায় একত্র পড়িতাম। এক দিবস। আমি পাঠশালায় যাই নাই, কেবল এই জন্যে ঐ 'দুই জুন আমাকে বিস্তর তিরস্কার করিয়াছিলেন। কিন্তু মিথ্যা কথা কিৰা আর কোন দোষ প্ৰযুক্ত আমাকে কেহ কখনো তিরস্কার করিতে পারেন নাই। মিথ্যা কথার প্রতি আমার স্বভাবতঃ এমন দ্বেষ আছে, যে যদ্যপি কোন অপরাধ করিতাম, তাহাতে বিচার সঙ্গত শাস্তি পাইবার সম্ভাবনা থাকিতেও, কেহ জিজ্ঞাসা করিলে মিথ্যা কহিতাম না, বরং সে জন্যে নিগ্ৰহভোগও স্বীকার ছিল, তথাপি মিথ্যা কহিয়া মনের মালিন্য জন্মাইতাম না, দেখ এহ মত অবলম্বন করিয়া অবধি অন্যাপি অন্যথা করি নাই। আরিস্তাতিল নামে এক ব্যক্তি পরম জ্ঞানবান ছিলেন, তাহাকে এক জন জিজ্ঞাসা করিলোক, যে মিথ্যা কহিলে কি হয়, তাহাতে তিনি উত্তর করিলেন, মিথ্যা কহিলে এই হয়, যে সত্য কহিলেও কেহ বিশ্বাস করে না। এপোলোনী নামে অন্য এক ব্যক্তি জ্ঞানবান কহিতেন যে, যে সকল লোক মিথ্যা কহিয়া অপরাধী হয়, তাহাগিং, বিশিষ্ট লোকের মধ্যে গণনা ಇಳ್ದ যায় না, যাহারা দাস্ত কৰ্ম্ম কশ্বিপ্না প্ৰাণ বাঁচায় তাহাদিগের মধ্যেও মিথ্যাঘাদিয়া ঘূণিত হয় । * ቃ মেওক্লিস নামে এক বালকের স্বভাব বড় ভাল ছিল, এবং লেসঠি ১ ইউরোটে। কিন্তু নিয়ত মন্দ লোকের সহবাসেতে তাহার মিথা ফৰিষ্ট'টুd