পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী স্তর হইতে যেমন যজুৰ্ব্বেদে সংগ্ৰহ করা যায়। জৈমিনিও এই রূপ সংগ্ৰহ স্বীকার করিয়াছেন। জৈমিনি সুত্র। গুণমুখ্যব্যতিক্রমে তদৰ্থত্বামুখ্যেন বেদসংযোগঃ। সেখানে গৌণ ও মুখ্য শ্রুতির বিরোধ হইবেক সেই স্থানে মুখ্যের সহিত বেদের সম্বন্ধ মানিতে হয় যেহেতু মুখ্য সৰ্ব্বথা প্ৰধান হয় যেমন বেদে কহেন যজুৰ্ব্বেদের বারবন্তীয় গান করিবেক কিন্তু যজুৰ্ব্বেদে দীর্ঘ স্বরের অভাব নিমিত্ত এই শ্রুতি গৌণ হয় বেদে অগ্নির স্থাপন করিবেক আর অগ্নির স্থাপনে গান আবশ্যক আর ঐ গানে দীর্ঘ স্বরের আবশ্যকতা অতএব পর শ্রীতি মুখ্য হয় এই নিমিত্ত সাম বেদীয় বারবন্তীয় অগ্নি স্থাপনে গান করিবেক ॥ ৩৪ ৷৷ व्राश्श्री এই প্রকরণের শ্রীতিতে কহিয়াছেন যে দুই পক্ষীর মধ্যে এক ভোগ করেন পুনরায় কহিয়াছেন যে দুই পক্ষী এক বিষয় ফল ভোগ করেন। অতএব দুই পক্ষীর ভোগ এবং ভেদ বুঝা যায়। এমত নহে ৷ ইয়দামাননাৎ ৷৷ ৩৫ ৷ উভয় শ্রুতিতে ইয়ত্তবচ্ছিন্ন অর্থাৎ পরিমিত জীবের পরমাত্মার সহিত অভেদ আমনন অর্থাৎ কথন হয়। পরমাত্মাকে ভোক্তা করিয়া কথন কেবল জীবের সহিত অভেদ জানাইবার নিমিত্ত হয়। অন্যথা বস্তুত এক পক্ষী অর্থাৎ সোপাধি জীব বিষয় ভোক্ত হয়েন দ্বিতীয় পক্ষী অর্থাৎ পরমাত্মা সাক্ষী মাত্ৰ ৷৷ ৩৫ ৷ দ্বিতীয় সুত্রের ইতিচেৎ পৰ্য্যন্ত সন্দেহ করিয়া উপদেশান্তরবৎ এই বাক্যে সমাধান করিতেছেন। অন্তর ভূতগ্রামবৎ স্বাত্মনঃ ॥ ৩৬ ৷ যদি কহ জীব। আর পরমাত্মার মধ্যে অন্তরা অর্থাৎ ভেদ আছে যেহেতু নানা স্থানে ভেদ করিয়া বদে কহিয়াছেন যেমন পঞ্চ ভূত জন্য দেহ সকল পৃথক পৃথক উপলব্ধি হয় ৷৷ ৩৬ ৷ অন্যথা ভেদানুপপত্তিারিতি চেন্নোপদেশান্তরবৎ ৷৷ ৩৭ ৷ অন্যথা অর্থাৎ আত্মা আর জীবের ভেদ অঙ্গীকার না করিলে বেদে ভেদ কথনের বৈফল হয় তাহার উত্তর শুই যে জীব আর পরমাত্মাতে ভেদ আছে। এমত নহে যেহেতু তত্ত্বমসি ইত্যাদি উপদেশের ন্যায় ভেদ কথন কেবল আদর