পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত গ্ৰন্থ । Ե՞Տ নিমিত্ত হয় তাহার কারণ এই ভেদ কহিয়া অভেদ কহিলে অধিক আদর জন্মে ৷৷ ৩৭ ৷ যেখানে কহেন যে পরমাত্মা সেই আমি যে আমি সেই পরমাত্মা এই রূপ ব্যতীহারে অর্থাৎ বিপৰ্য্যয় করিয়া কহিবার প্রয়োজন নাই যেহেতু জীবকে পরমাত্মার সহিত অভেদ জানিলে পরমাত্মাকেও সুতরাং জীবের সহিত অভেদ জানতে হয়। অতএব ঐ ব্যতীহার বাক্যের তাৎপৰ্য্য কেবল ঈশ্বর আর জীবের অভেদ চিন্তন হয়। এমত নহে ৷ ব্যতীহারোবিশিংষন্তি হীতরবৎ ৷৷ ৩৮ ৷ এই স্থানে ঈশ্বরের অপর বিশেষণের ন্যায় ব্যতীহারকে অঙ্গীকার করিতে হইবেক যেহেতু জাবালেরা এই রূপ ব্যতীহারকে বিশেষ রূপে কহিয়াছেন যে হে ঈশ্বর তুমি আমি আমি তুমি যে আমি সেই ঈশ্বর এবাক্যের ফল। এই যে আমি সংসার হইতে নিবৰ্ত্ত আর যে ঈশ্বর সেই আমি ইহার প্রয়োজন এই যে ঈশ্বর আমার পরোক্ষ না হয়েন। অতএব ব্যতীহার অপ্রয়োজন নহে ॥ ৩৮ ৷ বৃহদারণ্যে পূর্বোক্ত সত্য বিদ্যা হইতে পরোক্ত সত্য বিদ্যা ভিন্ন হয়। এমত নহে। সৈব হি সত্যাদয়ঃ ॥৩৯ ৷ যে পূর্বোক্ত সত্য বিদ্যা সেই পরোক্ত সত্য বিদ্যাদি হয় যেহেতু দুই বিদ্যাতে সত্য স্বরূপ পরমাত্মার অভেদ দৃষ্ট হইতেছে৷ ৩৯ ৷৷ ছান্দোগ্যে ব্ৰহ্মকে উপাস্ত করিয়া আর বৃহদারণ্যে র্তাহাকে জ্ঞেয় করিয়া কহিয়াছেন। অতএব উভয় উপনিষদেতে উক্ত বিশেষণ সকল পরস্পর সংগ্ৰহ হইবেক নাই। এমত নহে। কামাদীতারত্ৰ তত্ৰ চায়তনাদিভ্যঃ ॥ ৪০ ৷৷ ছান্দোন্ধ্যে ব্ৰহ্মকে সত্য কামাদি রূপে যাহা কহিয়াছেন তাহার বৃহদারণ্যে সুগ্ৰহ করিতে হইবেক আর বৃহদারণ্যে যে ব্ৰহ্মকে সকল বশ কর্তা আর সকলের ঈশ্বর কহিয়াছেন তাহা ছন্দোগ্যে সংগ্ৰহ করিতে হয় যেহেতু ঐ দুই উপনিষদে ব্ৰহ্মের স্থান হৃদয়ে হয়। আর ব্ৰহ্ম উপাস্ত হয়েন একই ব্ৰহ্ম সেতু হয়েন এমন কথন আছে যদি কহ ছন্দোগ্যে কহিয়াছেন যে হৃদয়ার্কাল ব্ৰহ্ম উপান্ত হয়েন আর বৃহদারণ্যে কহিয়াছেন। ব্ৰহ্ম আকাশে জ্ঞেয় হয়েনি। অতএব