পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ו"לצ ) ওঁ তৎসং । বেদান্তসার । সমুদায় বেদ বেদান্তাদি শাস্ত্রের প্রতিপাদ্য পরব্রহ্মকে জানা অবশ্য কর্তব্য হইয়াছে ইহার উল্লেখ বেদান্তের প্রথম রুত্রে ভগবান বেদব্যাস করিয়া শুতি এবং শ্রুতি সন্মত বিচারুের দ্বারা . দেখিলেন যে ব্রহ্মের স্বরূপ কোনমতে জানিতে পারা যায় না অর্থাৎ ব্রহ্ম কি আর কেমন এমত নিদর্শন হইতে পারে না যে হেতু শ্রুতিতে কহিতেছেন। ন চক্ষুষা গৃহতে নাপি বাচ নান্যৈর্দেবৈস্তপসা কৰ্ম্মণা বা । মুণ্ডক। অদৃস্টোদ্রষ্টা অশ্রতঃ শ্ৰোত অমূলমন বৃহদারণ্যক অবাঙ্গনসগো চরং। অশব্দং অস্পৰ্শ কঠবল্পী। চক্ষুর দ্বারা কিম্ব চক্ষু ভিন্ন অন্য ইন্দ্রিয় সকলের দ্বার অথবা তপের দ্বারা কিম্বা শুভ কৰ্ম্মের দ্বার ব্রহ্ম কি পদার্থ হয়েন তাহা জানা যায় না। ব্রহ্ম কাহার দৃষ্ট নহেন অথচ সকলকে দেখেন শ্রত নহেন অথচ সকল শুনেন। ব্ৰহ্ম স্থল নহেন সূক্ষম নহেন। বাক্য আর মনের অগোচর হয়েন। শব্দাতীত এবং সুপশাতীত হয়েন। অতএব বেদব্যাস দ্বিতীয় স্থত্রে ব্রহ্মের স্বরূপ বর্ণনের প্রয়াস না করিয়া তটস্থ রূপে তাহার নিরূপণ করিতেছেন অর্থাৎ এক বস্তুকে অন্য বস্তুর দ্বারা জানাইতেছেন যেমন সূৰ্য্যকে দিবসের নির্ণয় কর্তা করিয়া নিরূপণ করা যায়। জন্মাদ্যস্য যতঃ । ২ সুত্র। ১ পাদ। ১ অধ্যায়ঃ ৷ এই জগতের জন্ম স্থিতি নাশ যাহা হইতে হয় তেহে ব্ৰহ্ম হয়েন । নানাবিধ আশ্চৰ্য্যাম্বিত জগৎকে প্রত্যক্ষ দেখিতেছি এবং এই জগতের উৎপত্তি স্থিতি এবং নাশ দেখা যাইতেছে অতএব ইহার যে কৰ্ত্ত তাহাকে ব্ৰহ্ম শব্দে কহি যেমন ঘট দেখিয়া কুস্তকারের নির্ণয় করা যাইতেছে। শ্রতৃি সকলে এই রূপ তটস্থ লক্ষণের দ্বারা ব্ৰহ্মকে বর্ণন করেন। যতোবাই মানি ভুতানি জায়ন্তে। তৈত্তিরীয়। যোবে বালাকে,এতেষাং পুরুষাণাং কৰ্ত্ত যস্যৈতং কৰ্ম্ম । কৌষীতকী ॥ যাহা হইতে এই সকল জগৎ উৎপন্ন হইতেছে তেঁহো ব্রহ্ম। যে এই সকল পুরুষের কর্তা আর র্যাহার কার্য্য জগৎ হয় তেহোঁ ব্ৰহ্ম। ৰেদে কহেন বাচ বিরূপনিত্যয় । বেদ বাক্য নিত্য হয়েন। ইত্যাদি শ্রুতির দ্বারা বেদকে স্বতন্ত্র নিত্য কহিতে পারা যায় না কারণ এই যে শ্রুতিতে বেদের জন্ম পুনরায় শুনা যাইতেছে। ঋচঃ সামানি জঞ্জিরে। ঋক সকল আর সাম সকল ব্রহ্ম হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন।