পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৫৭

# >&っ স্ত্রণ করা আর দেবতা সমীপে আহারাদি করান কোন পরম্পরা সিদ্ধ হয এই রূপ নানা প্রকার কৰ্ম্ম যাহা অত্যন্ত শিষ্ট পরম্পর বিরুদ্ধ হয় প্রত্যহ করা যাইতেছে। আর শুভ শূচক কৰ্ম্মের মধ্যে জগদ্ধাত্রী রটন্তী ইত্যাদি পূজা আর মহাপ্রভুর নিত্যানন্দ প্রভূর বিগ্রহ এ কোন পরম্পরায় হইয়। আসিতেছিল তাহাতে যদি কহ যে এ উত্তম কৰ্ম্ম শাস্ত্র বিহিত আছে যদ্যপিও পরম্পর সিদ্ধ নহে তত্ৰাপি, কৰ্ত্তব্য বটে। ইহার উত্তর । শাস্ত্র বিহিত উত্তম কৰ্ম্ম পরম্পর সিদ্ধ না হইলেও যদি কৰ্ত্তব্য হয় তবে সৰ্ব্ব শাস্ত্র সিদ্ধ আত্মোপাসনা যাহা অনাদি পরম্পর ক্রমে সিদ্ধ আছে কেবল অতি অলপ কাল কোনো কোনো দেশে ইহার প্রচারের "নতা জন্মিয়াছে ইহা কৰ্ত্তব্য কেন না হয় এ শুনিতে পাই যে কোনো কোনো ব্যক্তি কহুিয়া থাকেন যে তোমরা ব্রহ্মোপাসক তবে শাস্ত্র প্রমাণ সকল বস্তুকে ব্ৰহ্ম বোধ করিয়া পক্ষ চন্দন শীত উষ্ণ আর চোর সাধু এ সকলকে সমান জ্ঞান কেন না কর । ইহার উত্তর এক প্রকার বেদান্ত সূত্রের ভাষা বিবরণের ভূমিকাতে ১০ দশব পৃষ্ঠে লেখা গিয়াছে যে বশিষ্ঠ পরাশর সনং কুমার ব্যাস জনক ইত্যাদি ব্রহ্মনিষ্ঠ হইয়াও লৌকিক জ্ঞানে তৎপর ছিলেন আর রাজনীতি এবং গৃহস্থ ব্যবহার করিয়াছিলেন তাহ যোগবশিষ্ঠ মহাভারতাদি গ্রন্থে স্পষ্টই আছে ভগবান কৃষ্ণ অৰ্জুন যে গৃহস্ত র্তাহাকে ব্রহ্মবিদ্যা স্বরূপ গীতার দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞান দিয়াছিলেন এবং অর্জুনে ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়৷ লৌকিক জ্ঞান শূন্য না হইয়। বরঞ্চ তাহাতে পটু হইয়া রাজ্যাদি সম্পন্ন করিয়াছিলেন। রশিষ্ঠদেব ভগবান রামচন্দ্রকে উপদেশ করিয়াছেন ৷ বহির্বাপরিসংরম্ভোহাদি সঙ্কম্প বৰ্জ্জিতঃ । কৰ্ত্ত বহিরক প্তাস্তরেবং বিহর রাঘব ॥ বাহোতে ব্যাপার বিশিস্ট হইয়। কিন্তু মনেতে সঙ্কলপ বর্জিত হইয়া আর বাহোতে আপনাকে কৰ্ত্তা দেখাইয়া আর অন্তঃকরণে আপনাকে অকৰ্ত্ত জানিয়া হে রামু লোকযাত্রা নির্বাহ কর । রামচন্দ্রো ঐ সকল উপদেশের অনুসারে আচরণ সৰ্ব্বদা করিয়াছেন । আর দ্বিতীয় উত্তর এই যে যে ব্যক্তি প্রশ্ন করেন যে তুমি ব্ৰহ্মজ্ঞানী শাস্ত্র প্রমাণ সকলকে ব্রহ্ম জানিয়াও খাদ্যাখাদ্য পঙ্ক চন্দনের আর শক্র মিত্রের বিবেচনা কেন করহ সে ব্যক্তি যদি দেবীর উপাসক হয়েন তবে তাছাপে