পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ঞ্জ ১৫২ ) খদি সিদ্ধ না হয় তবে কাহারে উপাসনা সিদ্ধ হইতে পারে না । কেছে৷ কেহো কহেন বিধিবৎ চিত্ত শুদ্ধি না হইলে ব্রহ্মোপাসনায় প্রবর্ত হওয়া উচিত নহে। তাহার উত্তর এই যে। শাস্ত্রে কহেন যথাবিধি চিত্ত শুদ্ধি হইলেই ব্ৰহ্মজ্ঞানের ইচ্ছা হয় অতএব ব্রহ্মজ্ঞানের ইচ্ছা ব্যক্তিতে দেখিলেই নিশ্চয় হইবেক যে চিত্ত শুদ্ধি ইহার হইয়াছে যে হেতু কারণ থাকিলেই কার্য্যের উৎপত্তি হয় তবে সাধনের দ্বারা অথবা সং সঙ্গ অথবা পুর্ব সংস্কার অথবা গুরুর প্রসাদাৎ কি কারণের দ্বারা চিত্ত শুদ্ধি হইয়াছে তাহা বিশেষ কি রূপে কহ৷ যায়। অধিকন্তু যাহারা এমত প্রশ্ন করেন র্তাহাদিগ্যে জিজ্ঞাসা উচিত যে তন্ত্রে দীক্ষা প্রকরণে লিখিয়াছেন ৷ শাস্তোবিনীতঃ শুদ্ধাত্ম শ্রদ্ধাবন ধারণক্ষমঃ । সমর্থশ্চ কুলীনশ্চ প্রাজ্ঞঃ সচ্চরিতোয়তা এবমাদিগুণৈযুক্তঃ শিষ্যোভবতি নান্যথা । যে ব্যক্তি জিতেন্দ্রিয় হয় এবং বিনয়ী হয় সৰ্ব্বদ শুচি হয় শ্রদ্ধাযুক্ত হয় ধারণাতে পটু শক্তি মান আচারাদি ধৰ্ম্ম বিশিষ্ট সুন্দর বুদ্ধিমান সচ্চরিত্র সংযত হয় ইত্যাদি গুণ বিশিষ্ট হইলেই দীক্ষার অধিকারী হয়। কিন্তু শিষ্যকে তাছার এই রূপ অধিকারী দেখিয়া মন্ত্ৰ দিয়া থাকেন কি না যদি আপনার অধিকারি বিবেচনা উপাসনার প্রকরণে না করেন তবে অন্যের প্রতি কি বিচারে এ প্রশ্ন তাহাদের শোভা পায় । ব্যক্তির কৰ্ম্ম ত্যাগ প্রায় তিন প্রকারে হয় এক এই যে ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তির কৰ্ম্ম ত্যাগ পরে পরে হইয় উঠে। দ্বিতীয় নাস্তিক স্বতরাং কৰ্ম্ম করে নাই। 'তৃতীয় কৃতাঙ্কত শাস্ত্র জ্ঞান রহিত যেমন অস্ত্যজ জাতি সকল হয়। তাহার শাস্ত্রের অজ্ঞানত প্রযুক্ত কোনো কৰ্ম্ম করে না। বেদান্ত শাস্ত্রের ভাষা বিবরণে কিম্বা বেদের ভাষা বিবরণে আর ইছার ভূমিকায় কোনো স্থানে এমত লেখা নাই যে নাস্তিকতা করিয়া অথবা শাস্ত্রে অবহেলা করিয়া কৰ্ম্ম ত্যাগ করিবেক । যদি কোনো ব্যক্তি নাস্তিকতা করিয়া অথবা শাস্ত্রে বিমুখ হইয় এবং আলস্য প্রযুক্ত কৰ্ম্মাদি ত্যাগ করে তবে তাহার নিমিত্তে বেদান্তের ভাষা বিবরণের অপরাধ-মহৎ ব্যক্তিরা দিবেন না যে হেতু তাহারা দেখিতেছেন যে ভাষা বিবরণের পূর্বে এরূপ কৰ্ম্ম ত্যাগী লোক সকল ছিলো বিবরণে অশাস্ত্র কোন স্থানে লেখা থাকে তবে তাছার প্রতিবাদ করিতে পারেন এবং