পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ ) এবং সাধারণ জ্ঞানকে অতিক্রম করিয়া উপাস্য দেবতার শরীরকে প্রাপ্ত হয়েম এবং হিরণ্যগৰ্ভ আর প্রকৃতির উপাসনার ফল লিখিলেন যে অনিমাদি ঐশ্বৰ্য্যকে পাইয় প্রকৃতিতে লীন হয় এছুই ফল কোন পথের দ্বারা পাইবেক তাহ কহিতেছেন । হিরন্মযেন পাত্রেণ সত্যস্যাপিহিতং মুখং ! তত্ত্বং পৃষরপার সত্যধৰ্ম্ময় দৃষ্টয়ে ॥১৫ কৰ্ম্মী এবং দেবোপাসক মৃত্যুকালে আত্মার প্রাপ্তির নিমিত্তে আপন উপাস্য দেবতা সূর্য স্থানে পথ প্রার্থন করিতেছেন । হে সূৰ্য্য স্বর্ণময় পাত্রের ন্যায় যে তোমার জ্যেতিময় মণ্ডল সেই মণ্ডলের দ্বারা তোমার অন্তর্যামী যে পরমাত্মা তাহার দ্বারকে রুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছ তুমি সেই দ্বাবকে তোমার উপাসক যে আমি আমার প্রতি আত্ম জ্ঞান প্রাপ্তির নিমিত্তে খোলে ॥ ১৫ । পূষম্নেকর্ষে যম স্বৰ্য্য প্রাজুপগু বাহ রশ্মীন সমূহ তেজোযত্তে রূপ কল্যাণতম তত্তে পশ্যামি। যোসাবসে পুরুষঃ সোহমৰ্ম্মি ॥১৬ হে জগতের পোষক সূৰ্য্য হে একাকী গমন কৰ্ত্ত হে সকল প্রাণির সংযম কর্তা হে তেজের এবং জলের গ্ৰহণ কর্তা হে প্রজাপতির পুত্র আপন কিরণকে দুই পাশে চালাইয়া পথ দাও আর তোমার তাপ জনক যে তেজ তাহাকে উপসংহার কর যে হেতু কির লকে উপসংহার করিলে তোমার প্রসাদেতে তোমার অতি শোভন রূপকে দেখি । পুনরায় সেই উপাসক আত্মজ্ঞানের প্রকাশের দ্বাৰা কল্লিতেছেন যে হে সূৰ্য্য তোমাকে কি ভূত্যের নায় যাচঞা করি যে হেতু তোমার মগু, লস্ত যে আত্মা সে আমি হই অর্থাৎ তোমার যে অস্ত্যামী সে আমারে অন্তর্যামী হয়েন অতএব তোমাকে যাচঞা করিবার কি প্রযোজন আছে। ১৬। বায়ুরনিলম্যুতমথেদ ভস্মাস্তং শরীরং। ওঁ ক্ৰতো স্মর কৃতং স্মর ক্র তো স্মর কৃতং স্মর ॥১৭ মৃত্যুকাল প্রাপ্ত হইয়াছি যে আমি আমার প্রাণ বায়ু সকলের আধার যে মহাবায়ু তাহাতে লীন হউন এবং আমার সূক্ষম শরীর উপরে গমন করুণ আর আমার স্থূল শরীর ভস্ম হউন । সত্য রূপ ব্রহ্মের অধিষ্ঠান অগ্নিতে ও সূর্য্যেতে আছে 'কৰ্ম্মীরা অগ্নি দ্বার। আর দেব জ্ঞানীর সূৰ্য্য দ্বারা তাহাকে পরম্পরায় উপাসনা করেন এখানে অধিষ্ঠান আর অধিষ্ঠাতার অভেদ বুদ্ধিতে ওঁকার শব্দের দ্বারা অগ্নিকে সম্বোধন করিতেছেন প্রথমত মনকে সম্বোধন করিয়া কহিতেছেন যে হে মন মৃত্যু