পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারীত বিষ্ণু প্রভৃতির স্মৃতি দ্বারা মন্তু স্মৃতির অগ্ৰাহত হইয়াছে, এবং এ কথার সংস্থাপনের নিমিত্তে তিন যুক্তি প্রমাণ লিখিয়াছেন ; আদৌ রহম্পতি বচনে লিখেন যে মন্বন্ধ বিপরীত যা সা স্মৃতিন গ্রশস্যতে ॥ অর্থাৎ মমুর অর্থের বিপরীত ষে স্মৃতি তাহ প্রশংসনীয় নহে, এ বচনে যা শব্দ এক বচনান্ত দেখিতেছি, অতএব এক স্মৃতির সহিত মসুর বিরোধ হইলে, সে স্মৃতি অগ্রাহ হয়, কিন্তু অনেক স্মৃতির সহিত মীর বিরোধ হইলে মত্ব স্মৃতির অগ্রামাণ্য স্বীকার করিতে হইবে। উত্তর –তাবৎ নব্য প্রাচীন গ্রন্থকারেরদিগের এই সৰ্ব্ব সাধারণরীতি হয়, যে 'মনু স্মৃতির বিরোধ এক স্মৃতি অথবা অনেক স্মৃতির সহিত হইলে মনু স্মৃতির অনুসারে সেই সকল স্মৃতির অর্থ কবিয়া থাকেন; যন্নুর স্মৃতিকে অন্য স্মৃতি দ্বারা বাধিত করিয়া স্বীকার করেন না, আপনি ঐ সকলের মতের অন্যথায় প্রবর্ত হইয়া অনা দুই তিন স্মৃতির,দ্বারা মন্থর স্মৃতিকে অপ্রামাণ্য স্বীকার করেন, এ যুক্তি আপনকার কেবল পূৰ্ব্বাপর আচার্য্যেৱদের মত বিরুদ্ধ হয়, এমত নহে, ৰরঞ্চ সাক্ষাৎ বেদ বিরুদ্ধ হয়,যে হেতু বেদ কহেন। যৎকিঞ্চিং মসুরবদৎ তদ্বৈ ভেষজং যাহা কিছু মহু কহিয়াছেন, তাহাই পথ্য, এবং আপনিও ৭ পৃষ্ঠাতে ঐ শ্রীতি লিখিয়াছেন; অতএব মন্ত্রবাক্য অন্য বাকোর দ্বারা অপ্রামাণ্য হইলে বেদের যে এই বাক্য অর্থাৎ যাহা মনু কহিয়াছেন তাহাই পথ্য, সে অপ্রমাণ হয় ; আর বৃহস্পতি বচনে যা এই সামান্য শব্দের প্রয়োগের দ্বারা ইহা প্রাপ্ত হয়, যে যে কোনো বচন যাহার স্মৃতিত্ব আছে, সে মমুবাক্যের বিপরীত হইলে অগ্রাহ হইবেক ; এবং রহস্পতি বচনের পূৰ্ব্বান্ধে হেতু দেখাইয়াছেন, যে বেদার্থের সংগ্রহ কুরিয়াছেন, এ প্রমুক্ত মমু স্মৃতির প্রাধান্য জানিবে। অতএব এই হেতু প্রদর্শন দ্বারা ইহা সিদ্ধ হইয়াছে, যে সাক্ষাৎ বেদার্থ যে মনু স্মৃতি তাহার বিপরীত যে অন্য স্মৃতি সে সুতরাং বেদের বিপরীত, অতএব গ্রাহ্ নহে। রহস্পতি বচনে যে কোনো স্মৃতি মনুর বিরুদ্ধ হয় তাহাই অগ্রাহ, ইহাতে আপনি অর্থ করেন যে স্মৃতি এই এক বচনান্ত প্রয়োগের দ্বারা এক স্মৃতির সহিত মসুর বিরোধ হইলে মনুর প্রাধান্য হয়, আর অনেক স্মৃতির সহিত বিরোধ হইলে ময় স্মৃতি অপ্রমাণ হয়। এই সিদ্ধান্ত যদি আপনকার হইল, তবে পশ্চাৎ