পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( )ున } লিখিত শ্রুতির ঐ সিদ্ধাস্তানুসারে অর্থ করিতে হইবেক, যথা । যে ব্রাহ্মণয়াবগুরেত্তং শতেন যাতযাৎ যে নিহন্যাতং সহশ্রেণ ইতি ॥ যে কোনো এক ব্যক্তি এক ব্রাহ্মণকে মারিতে উদ্যত হয়, সে ব্যক্তি শত যাতনা নরকে যায় ; আর যে আঘাত করে, সে সহস্ৰ যাতনা নরকে যায় ; অতএব এ স্থলেও এক বচনান্ত প্রয়োগের দ্বারা যদি দুই তিন ব্যক্তি এক ব্রাহ্মণকে মারে, কিম্বা এক ব্যক্তি দুই তিন ব্রাহ্মণকে মারে, তবে দোষ না হউক। এ রূপ অনেক স্থল আছে, যাহাতে আপনকার সিদ্ধান্তানুসারে অর্থ করিলে সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম লোপ ঠয় । দ্বিতীয়ত মনুস্মৃতির খণ্ডনের নিমিত্তে লিখিয়াছেন, যে ঋকবেদে সহমরণ অনুমরণের প্রয়োগ আছে ; অতএব বেদ বিরোধের নিমিত্ত মনুস্মৃতির গ্রাহতা নাই , উত্তর –আপনি ৯ পৃষ্ঠায় ১২ পুংক্তিতে শ্রুতি লিখিয়া তাঙ্গর অর্থ লিখিয়াছেন, যে নিত্য নৈমিত্তিক নিষ্কাম কৰ্ম্ম করিয়া চিত্ত শুদ্ধি হইলে আত্মোপাসনার দ্বারা মুক্ত হইবার সম্ভাবনা আছে, অতএব আয়ুঃসত্ত্বে আয়ুবীয় করিবৃেক না ; অতএব झेত্যাদি শ্রুতির সহিত মনুস্মৃতির সম্যক প্রকাবে ঐক্য স্পষ্ট হইয়াছে, অথচ লিখিয়াছেন এস্থলে মনুস্মৃতি বেদ বিরুদ্ধ হয়। আর যৎকিঞ্চিম্মনুবৰদত্ত দ্বৈ ভেষজং ৷ ইত্যাদি শ্রুতি প্রমাণে মনুস্মৃতির সহিত বেদের বিরোধ কদাপি সম্ভব নহে , আর ঐ ঋকবেদ শ্রতি যাহাতে সহমরণের উল্লেখ আছে, এই অধ্যাত্ম প্রকৃরণীয় শ্রুতির সহিত যে বিরোধ দেখাই তেছে তাহাতে ভগবান মনু অধ্যাত্ম প্রকরণীয় শ্রুতির বলবত্তা জানিয়া তদনুসারে ব্রহ্মচর্যোব বিধি দিলেন, আর অতি মূঢ়মতি কামাসক্ত প্রতি সুতরাং ঐ ঋকবেদ শ্রুতির অধিকার রহিল ; যাহার দ্বারা ঐ স্বৰ্গকামিদের পরম শ্ৰেয়ঃ হইতে পারে না, ইছ আপনিও ১১ পৃষ্ঠ ১৭ পূংক্তিতে লিখিয়াছেন, এবং আমরাও সম্পূর্ণ রূপে প্রবর্তৃক নিবৰ্ত্তক সংবাদের ১৭৩ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছি। বিশেষত আপনি কোন না জানেন, যখন দুই শ্রুতির তাৎ পৰ্য্যার্থের নিশ্চয় হঠাৎ না হয়, আর বেদের বিশেষার্থবেত্ত। ভগবান মন্থ তাহার যে কোনো অর্থকে নিশ্চয় করিয়া থাকেন, তাহাকেই তাৎপৰ্য্যার্থ বলিয়া পূৰ্ব্বাপর আচার্যোরা গ্রহণ করিয়াছেন । ভবিষ্য পুরাণে ভগবান মহেশ্বর জ্ঞানতে ব্রাহ্মণ বধে প্রায়শ্চিত্ত আছে এমত বিধি দিয়া দেখিলেন,