পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f ( ১৯০ ) যে কামতোব্রাহ্মণবধে নিষ্ক তিন বিধীয়তে ॥ অর্থাৎ জ্ঞান পূর্বক ব্রাহ্মণ বধ করিলে প্রায়শ্চিত নাই, এই যে মঘুবাক্য তাহার সহিত বিরোধ হয় ; এ প্রযুক্ত সাক্ষাৎ বেদার্থ মনুবাক্যকে আপন বাক্যের দ্বারা বাধিত এবং উল্লঙ্গন না করিয়া ঐ মনুবাকোর তাৎপৰ্য্য ব্যাখ্যা করিয়াছেন, যে কামতোহ্রাহ্মণবধে যদেতস্থানুনোদিতং । একান্ততোবিপ্রবধব নার্থমুদীরিতং ॥ যদ্ধ ক্ষত্রদিবিষয়মেতদ্ধৈ বচনং বিস্তুঃ অর্থাৎ জ্ঞানত ব্ৰাহ্মণ বধে নিস্কৃতি নাই, যে মটু কহিয়াছেন, তাহ সৰ্ব্ব প্রকারে ব্রহ্ম বধ নিষেধের নিমিত্ত জানিবে, অথবা ক্ষত্রিয়াদির প্রতি এ বচনের বিষয় জানিবে ; অতএব ভগবান মহাদেব আপন বাক্যের দ্বারা মনুবাক্যের অপ্রামাণ্য করেন নাই, কিন্তু আপনি স্ত্রীহতা করিলার নিমিত্ত ছারীত অঙ্গির বাক্য দ্বারা মতু বাংকার অপ্রমাণ স্বীকার করিয়াছেন । তৃতীয়ত, মকুবাক খ গুনের উদ্দেশে জৈমিনি সূত্র লিখিয়াছেন তাহাব অর্থ এই বিরুদ্ধধৰ্ম্মেৰ উপস্থিতি যদি এক স্থলে হয় তবে অনেকের যে ধৰ্ম্ম তাহারই গ্রাহাতী,অতএব দুই তিন স্মৃতির বিরুদ্ধ হেতুক এস্থলে মনুস্মৃতির অগ্ৰাহত হয় ৷ উত্তর -এ স্থত্র দ্বারা এবং যুক্তির দ্বারা ইহা প্রাপ্ত হয়, যে তুল্য প্রমাণ বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মের উপস্থিতি যদি একত্র হয়,তবে অনেকের ধৰ্ম্ম গ্রাহ হয়,তুল্য প্রমাণ না হইলে এ স্থত্রের বিষয় হয় না; যেমন এক শতির একশত স্মৃতির সহিত বিরোধ হইলে অগ্রাভূত হয় এমন্ত নহে ; সেই রূপ সাক্ষাং বেদার্থ যে মনুস্মৃতি তাহার অগ্রাহ্যতা এক স্মৃতি কিম্বা অনেক স্মৃতির বিরোধ দ্বারা হইতে পারে না, অধিকন্তু অঙ্গির হারাত বিষ্ণু ব্যাস ইহঁরা যেমন সহমরণ ও ব্রহ্মচৰ্য্য এ দুয়ের অনুমতি বিধবার প্রতি করি য়াছেন, সেই রূপে মন্তু, যাজ্ঞবল্কা, বশিষ্ঠ,শীতাতপ, প্রভৃতি ইহার কেবল ব্ৰহ্মচর্য্যের বিধি দিয়াছেন, অতএব মাদি বাকাকে তুচ্ছ করিয়া স্বর্গ প্রলোভ দেখাইয়া কেন অবলা স্ত্রীর প্রাণু বধ করেন ? ইতি দ্বিতীয় প্রকরখং ! প্লাস্থেতে ইত্যাদি শ্রুতি সকল, এবং যামিমাং পুষ্পিতাং ৰচিমিত্যাদি ভগবদগীতা শ্লোক, যাহা আমরা স্বৰ্গাদি কামনা করা অতি বিরুদ্ধ ইহার প্রমাণের নিমিত্তে লিথিয়ছিলাম, তাহা সকলক আপনি প্রথমত লিখিয়