পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৯৬ ) পূর্বক জ্ঞানাভ্যাস করিবার আজ্ঞা দিয়াছেন, অতএব সেই শাস্ত্রানুসাবে বিধ বারদিগকে নিন্দিত এবং অচিরস্থায়ী যে স্বৰ্গ স্থখ তাহা হইতে নিরক্ত করিতে প্রয়াস এবং পরম পদকে প্রাপ্ত করেন, ষে জ্ঞানাভ্যাস তাহাতে প্রৱত্ত করিতে উদ্যোগ করি, অতএব বিধবা নিষ্কাম কৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বারা চিত্ত শুদ্ধি পূর্বক পরমেশ্বরের শ্রবণ মনন করিয়া পরম পদকে প্রাপ্ত হয়েন, সুতরাং ব্রহ্মচৰ্য্যানুষ্ঠান করিলে বিধবার ইতোম্রষ্টস্ততোনস্ট হইবার কদাপি সন্তু। বন নাই। গীত। মাং হি পাৰ্থ ব্যপাশ্রিত্য যেপি স্থ্যঃ পাপযোনয়: স্ত্রিয়োৰৈশাস্তথা শূদ্রাস্তোপ যান্তি পরাং গতিং । হে পার্থ, আমাকে আশ্রয় করিয়া স্ত্রী বৈশ্য শূদ্র যে সকল পাপ যোনি তাহারাও পরম পদ প্রাপ্ত হয় । কিন্তু আপনার স্ত্রীলোককে সরাগা জানিয়া এবং মোক্ষ সাধনে অযোগ্য জ্ঞান করিয়া সহমরণে প্রবৃত্তি দেন, যে কেহ তাহারদের মধ্যে সহগমন না করে, আপনকার সিদ্ধাস্তানুসারে তাহাবদের ইতোম্রন্টস্ততোনষ্ট হওয়া নিশ্চিত হইল, যেহেতু আপনকাব মতে জ্ঞানাভ্যাসের দ্বার মুক্তি প্রাপ্ত হইবার তাহারা যোগাই নহে, এবং সহমরণ দ্বারা স্বর্গারোহণ ও তাহারদের হইল না । আর ন বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং কৰ্ম্মসঙ্গিনাং ! কৰ্ম্মেতে আৱত যে অজ্ঞানি, তাহারদিগের বুদ্ধি ভেদ জন্মাইবে না, এই যে গীতার প্রমাণ দিয়াছেন সে বচনের তাৎপৰ্য্য এই, যে কামনা রহিত কৰ্ম্মির বুদ্ধি ভেদ জন্মাইবেক না, কিন্তু আপনি সকাম কশ্মির বিষয়ে এ বচনের প্রয়োগ করিয়াছেন, এ অত্যন্ত অশাস্ত্র, যে হেতু কামনা ত্যাগ করিয়া কৰ্ম্ম করিতে প্রবৃত্তি দেওয়া কি এ বচনের কি সমুদায় গীতার তাৎপৰ্য্য হয়, অতএব গীত ও তাঁহার টাকা দুই প্রস্তুত আছে, পণ্ডিতের বিবেচন। কবিবেন । সাংসারিকসুখাসক্তং ব্রহ্মজ্ঞোষ্ট্ৰীতি বাদিনং ইত্যাদি । অর্থাৎ সংসারের সুখে আসক্ত হইয় যে ব্যক্তি কহে, আমি ব্রহ্মজ্ঞানী হই, সে কৰ্ম্ম ব্রহ্ম উভয় ভ্ৰষ্ট হয়। এই য়ে বৃশিষ্ঠের বচন লিখিয়াছেন, এ যথার্থ বটে, যে হেতু সংসারের সুখে আসক্ত হউক, অথবা না হউক, যে কোন ব্যক্তি এমত অভিমান করে, যে আমি ব্ৰহ্মজ্ঞ অথবা অন্য কোন প্রকারে গুরুত্বাভিমান করে, সে অতি অধম । কিন্তু সহমরণ প্রকরণে এ বচন যাহার দ্বারা অভিমানের নিষেধ দেখিতেছি, তাহার উদা