পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৯৭ ) হরণের কি প্রয়োজন আছে, তাহ জানিতে পারিলাম না । ইতি ষষ্ঠ প্রকরণং । 纖 আপনি বিংশুতি পৃষ্ঠায় নিষেধকের পক্ষকে আশ্রয়’ করিয়া লিখেন, যে আমরা সহমরণ অনুমরণের নিষেধ করি না, কিন্তু বিধবার্কে বন্ধন । পূর্বক যে দাহ করিয়া থাকেন তাহার নিষেধ করি। উত্তর –এ অত্যন্ত অসঙ্গত, যেহেতু আমারদিগেব যে বক্তব্য তাহার অন্যথা লিখিয়াছেন, কারণ সহমরণ অনুমরণ সকাম ক্রিয়া হয়, আর কাম ক্রিয়াকে উপনিষৎ এবং'গীতাদি শাস্ত্রে সর্বদা নিনিত রূপে কহিয়াছেন, সুতরাং ঐ সকল শাস্ত্রে বিশ্বাস করিয়া সকাম সহমরণ হইতে বিধবাকে নিরক্ত করিবার প্রয়াস আমরা করিয়া থাকি, যে তাহারা, শরীর ঘটিত নিন্দিত সুখের প্রার্থনা করিয়া পরম পদ মোক্ষের সাধনে নিরক্ত না হয়, এবং বন্ধন পূর্বক যে স্ত্ৰীবধ আপনকার করিয়া থাকেন, তাহ প্রত্যক্ষ দেখিয়া নিষেধ ন করিলে প্রতাবায় আছে, অতএব বিশেষ রূপে তাহা হইতে নিৰ্ব্বত্ত করিতে উদ্ভুক্ত হুই । 够 বলাৎকারে বিধবাকে দাহ করিবার দোষকে নির্দোষ করিবার নিমিত্ত ঐ বিংশতি পত্রের শেষে লিখেন, যে যে দেশে অত্যন্ত জ্বলচ্চিতারোহণের ব্যবহার অাছে, সে নিদিবাদ । যে দেশে তাদৃশ ব্যবহার নাই, কিন্তু মৃত পতির শরীরদাহকের যথা বিধান ক্রমে অগ্নি দিয সেই অগ্নি চিত। সংযুক্ত করিয রাখেন, পরে সেই অগ্নির দ্বারা চিতা অপে অপে জলস্থ হইতে থাকে, এই কালে স্ত্রী যঃ বিধানক্রমে ঐ চিতায় আরোহণ, করে, সেও দেশাচার প্রযুক্ত শাস্ত্র বিরুদ্ধ নহে, এবং দেশাচারের দ্বার ধৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করিবার দুই তিন বচন ও লিখিয়াছেন। উত্তর -- স্ত্রীবধ, ব্রহ্মবধ, পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যা, ইত্যাদি দারুণ পাতক সকল দেশাচার বলেতে ধৰ্ম্ম রূপে গণ্য হইতে পারেন। বরঞ্চ এ রূপ আচার যে দেশে হয়, সে দেশই পতিত হয় । ইহার বিশেষ পশ্চাৎ লিখিতেছি । অতএর বলাৎকারে কোন স্ত্রীকে বন্ধন করিয়া, পরে অগ্নি দিয়া দাহ করা এ সৰ্ব্ব শাস্ত্রে নিষিদ্ধ, এবং অতিশয় পাপের কারণ হয় । এ রূপ স্ত্রীবধেতে এক দেশীয় লোকের কি কথা ? যদি তাবৎ দেশের লোক ঐক্য হইয়া করে,