পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২০৫

>>。 তথাপি বধকৰ্ত্তার পাতকী হইবেক, অনেকে ঐক্য হইয়া বধ করিয়াছি, এই কথার ছলে ঈশ্বরের শাসন হইতে নিষ্কৃতি হইতে পারে না, যে যে ক্রিয়ার শাস্ত্রে কোনো বিশেষ নিদর্শন নাই, সে স্থলে দেশাচার ও কুলধ ম্মানুসারে সে ক্রিয়াকে নিষ্পন্ন করিৰেক, কিন্তু সৰ্ব্ব শাস্ত্র নিষিদ্ধ ; যে জ্ঞান পূর্বক স্ত্ৰীবধ তাহ কতিপয় মন্থয্যের অনুষ্ঠান করাতে দেশাচার হইয়া সৎকৰ্ম্মে গণিত কদাপি হয় না । স্বন্দপুরাণ ॥ ন যত্র সাক্ষণদ্বিধরোন নিষেধা: শ্ৰতে মৃতে । দেশাচারকুলাচারস্তুত্র ধৰ্ম্মোনিরূপতে । যে যে বিষয়ের শ্রীতি, ও স্মৃতিতে সাক্ষাৎ বিধি ও নিষেধ নাই, সেই সেই বিষয়ে দেশাচার কুলাচাৰুের অনুসারে ধৰ্ম্ম নিৰ্বাহ করিবেক । যদি বল, দেশাচার ও কুলাচার যদ্যপি ও সাক্ষাং শাস্ত্র বিরুদ্ধ হয়, তথাপি কর্তৃবা, এবং তাই সংকৰ্ম্মে গণিত হইবেক । উত্তর, শিবকাঞ্চ, ও বিষ্ণকান্ধী এই দুই দেশে চাতু বর্ণ লোক কি পণ্ডিত কি মূর্থ ? তাহারদের কুলাচার এই, যে বিষ্ণকান্ধীন্থের শিবের নিন্দ কবিয়া আসিতেছে, আর শিবক। ঞ্চীস্থ লোকের বিষ্ণুর নিন্দ করে, অতএব দেশাচাৰ কুলাচারানুসারে শিব নিন্দ ও বিষ্ণু, নিন্দার দ্বাবা তাহারদিগের পাতক না হউক ; সে হেতু প্রত্যেকে তাহার কহিতে পারে, যে দেশাচার কুলাচারানুসারে নিন্দ | করিয়া আসিতেছি, কিন্তু কোনে পণ্ডিতে বা কহিবেন না, যে তাহার দেশাচার বলে নিষ্পাপ হইবেক । এবং তালুবে দেস নিকটস্থ দেশে রাজ পুত্রেরা কন্যাবধ করিয়া থাকে, তাহারা ও কন্যাবপের পাতকী না হউক । যে হেতু দেশাচারে ঐ ঐ কুলের লোক সকলেই কমাবধ করিয়া থাকে, এ রূপ অনেক উদাহরণ স্থল আছে, অতএব সাক্ষাৎ শাস্ত্র বিরুদ্ধ দারুণ পাতককে দেশাচার প্রযুক্ত পুণ্যজনক রূপে কোনো পণ্ডিতের স্বীকার করেন নাই । বিধবাকে বন্ধন পূর্বক দাহ করা দেশাচার প্রযুক্ত সংকৰ্ম্ম হয়, ইহা প্রথমত: কহিয়া পুনরায় আপত্তি করিয়াছেন ; যে বনস্থ, পৰ্ব্বতীয় লোক সকলে; দস্থ্যৰ্বত্তি দ্বারা প্রাণি বধাদি করিতেছে, তাতাতে দেশাচার প্রযুক্ত ঐ বনস্থেরদিগের পাপ না হউক। পরে ঐ আপত্তির সিদ্ধান্ত আপনি করেন, যে বনস্থাদি লোকের ব্যবহার উত্তম লোকের গ্রাহ নহে, সহমরণ