পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ن و ن ) প্রাপ্ত হইয়াছে। প্রবিবেশ হুতাশনং । অর্থাৎ অগ্নিতে বিধবা প্রবেশ করিবেক । সমারোহেদ্ধতাশনং। অর্থাৎ বিধবা অগ্নিতে আরোহণ করিবেক । ইহার তাৎপৰ্য্য আপনি ব্যাখ্যা করিবেন, যে চিতা হইতে অনেক দূরে অগ্নি থাকিবেক, আর সেই অগ্নি সংযুক্ত রজ্জ কিম্বা তৃণাদি চিতা সংলগ্ন হইবেক, এ রূপ চিত যাহাতে অগ্নির লেশ মাত্র নাই তাহাতে আরোহণ করিলে অগ্নি প্রবেশ করা, ও অগ্নিতে আরোহণ করা সিদ্ধ হয়, কিন্তু কি ভাষাতে কি সংস্কৃতে প্রবেশ শব্দের শক্তি বস্তুস্তরের অন্তর্গমনে রূঢ় হয়, যেমন এই গৃহেতে আমি প্রবেশ করিয়াছিলাম, এ প্রয়োগ গৃহমধ্য গমন ব্যতিরেকে কদাপি হইতে পারে না ; যদি সেই গৃহ লগ্ন হইয়া এক দীর্ঘকাষ্ঠ থাকে, আর সেই কাষ্ঠ এক রজ্জর মহিত সংযুক্ত হয়, আর কোন ব্যক্তি ঐ কাষ্ঠকে অথবা রজ্জ কে স্পর্শ করে, তৎকালে সে ব্যক্তি গৃহ প্রবেশ করিলেক, এ প্রয়োগ কি ভাষাতে, কি সংস্কৃততে, কেহ করিবেক ন। আর আমার অৰ্দ্ধেক শরীর পিয়রেতে প্রবিষ্ট হইয়াছিল এ স্থলে পিঞ্জব সংযুক্ত কোন এক বস্তুকে স্পর্শ করিলেও আপনকার শব্দ কেীশলের অনুসারে কহিতে পারা যাউক, যে পিপ্ল্যুরে প্রবেশ করিয়াছিলাম, সদাপিও চিতার কোনো কাষ্ঠে অগ্নি জ্বলন্ত থাকিত, যাহা আপনকারদের বচিত চিতাতে কোনমতে থাকে না, তথাপিও পট দাহ গ্রাম দাহ যুক্তিক্ৰমে কহিতে পারিতেন, যে এক দেশ জ্বলন্ত দ্বারা চিতা জ্বলন্ত হইয়াছে; কিন্তু যে পর্য্যস্ত অগ্নি এ রূপ দেদীপ্যমান না হয়, যে স্ত্রীর সর্বাঙ্গ তাহার মধ্যে যাইতে পারে, তাবৎ অগ্নি প্রবেশ পদ প্রয়োগ কোনো প্রকারে চুইতে পারে না । অতএব আবলা স্ত্রীবধের নিমিত্ত নূতন কোষ প্রস্তুত করিতে উদ্যত হইয়াছেন । কিন্তু তাহার প্রামাণ্য , বিজ্ঞলোকের নিকট হওয়া অত্যন্ত অভাবনীয় জানিবে । ২৪ পৃষ্ঠার শেষ অবধি লিখুেন,দাহকের যে দেশাচার প্রযুক্ত বন্ধনাদি করে, সেও শাস্ত্র বিরুদ্ধ নহে, যে হেতু পূৰ্ব্বোক্ত হারাত বচনে বুঝাইতেছে, যাবৎ পৰ্য্যস্ত স্ত্রী আত্ম শরীরের দাহ না করে, অর্থাৎ সৰ্ব্বতোভাৰে দাহ না করে, তাবৎ পৰ্য্যস্ত স্ত্রী শরীর হইতে মুক্ত হয় না, এই প্রযুক্ত ীির মৃত শরীর যদি চিতা হইতে খণ্ড খণ্ড হইয়া ইতস্তত পড়ে, তবে স্ত্রী