পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २९२ } শরীরের প্রকৃষ্ট দাহ হয় না, এই জন্যে দাহকের বন্ধনাদি করে । সে ও শাস্ত্রের অনুগত ব্যবহার এবং দtহকেবা বন্ধনাদি করে, তাছাতে তাহারদিগের পাপ নাই, পরস্তু পুণা হয় ; ও তাহার প্রমাণুের নিমিত্তে আপস্তম্বের বচন লিখেন, যাহার তাৎপর্য্য এই, যে বৈধ কৰ্ম্মের যে প্রবর্তক এবং অনুমতিক ও কর্তা সকলে স্বর্গে যান, আর নিষিদ্ধ কৰ্ম্মের প্রবর্তৃক ও অনুমতি কৰ্ত্ত এবং কৰ্ত্ত সকলে নরকে গমন করেন ৷ উত্তর –আপ, নকার কক্তব্য এই হইয়াছে, যে চিতায় অগ্নি দিলে অগ্নির উত্তাপের ভয়ে কিম্বা অগ্নি স্পর্শ শরীরে হইলে অসহিষ্ণুতা প্রযুক্ত কি জানি যদি বিধবা চিতা হইতে পলায় ; সে আশঙ্ক। দূর করিবার নিমিত্ত দাহকের চিতার উপর স্ত্রীর শরীরকে বন্ধন করেন না, কিন্তু স্ত্রীর মৃত শরীরের খণ্ড খণ্ড দহকালে চিতা হইতে কি জানি যদি ইতস্ততঃ পড়ে, এনিমিত্ত দাহকের জীবদ্দশাতেই চিতাতে বন্ধন করেন ; অতএব জিজ্ঞাসা করি, যে লোহ রচিত রজ্জ, দিয়া এরূপ বিধবাকে বন্ধন করিয়া থাকেন, কি সামান প্রসিদ্ধ রজ, দিয়া বন্ধন করেন ? কারণ লৌহ যস্ত্রে শরীরকে প্রবিট করিয়া দাহ করিলে তাহার খণ্ড খ গু ইতস্ততঃ পড়িবার সম্ভাবনা থাকে না, অন্যথা সামান্য রজ্জ দিয়া যদি বন্ধন করেন, তবে সে রক্ষ, শরীর দাহের পূর্বেই প্রাণত্যাগ সময়ে দগ্ধ হয়, অতএব সে দুগ্ধ রজ্জ দ্বাৰা শরীরের ইতম্ভত পতন কোনো রূপে বারণ হইতে পারে না । অধৰ্ম্মকে ধৰ্ম্ম রূপে সংস্থাপন করিতে প্রেরত্ত হইলে পণ্ডিত লোকেরও এপর্যান্ত অনবধানত হয়, যে জ্বলন্ত অগ্নির মধ্যে রজ্জ, থাকিয় দগ্ধ হয় না, এবং অনাকে অগ্নি হইতে ইতস্তত পতনে নিবারণ করে, এ রূপ বাক্য লোকের বিশ্বাসের নিমিত্ত লিখেন, অতএব বিজ্ঞ লোকে বিবেচনা করিবেন, যে রজ, দিয়া বন্ধন করিবার হেতু যাহ। আপনি লিখিয়াছেন, তাহ যথার্থ ঘটে, কি না ? সংসারেও সকল লোক এক কালে নেত্রহীন হয় নাই, অতএব স্ত্রীদাহ কালে যাইয়া দেখিলেই বিধবার বন্ধনের যে কারণ আপনি কহিয়াছেন তাহ সত্য কি মিথ্য ইহা অনায়াসে জানিতে পরিবেন ; আর আপনকার অনুগত বিষয়িরদিগের মধ্যে যাহার কিঞ্চিৎও সত্যতে শ্রদ্ধা আছে, তাহারা এরূপ হেতু শুনিয়া কি রূপ শ্রদ্ধান্বিত হইবেন, তাহী বি’