পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২০৩ } ঞ্চিৎ বিবেচনা করিলে কোন আপনকার বিদিত না হইবেক ? আপস্তম্বর বচন যাহা প্রমাণ নিমিত্ত আমারদের লেখা উচিত ছিল, তাহ আপনি লিখিয়াছেন, যেহেতু সে বচনের দ্বারা ইহা সিদ্ধ হইতেছে, যে নিষিদ্ধ । কৰ্ম্মের প্রবৰ্ত্তক ও অনুমতিকৰ্ত্ত এবং কৰ্ত্ত নরকে যায়, সুতরাং সৰ্ব্ব প্রকারে অবৈধ ও অতি,নিষিদ্ধ, জ্ঞান পূর্বক বন্ধন করিয়া যে স্ত্রীদাহ তাহার প্ৰবৰ্ত্তক ও অনুমতিকর্তা ও কর্তা ঐ বচনের বিষয় অবশ্য হইলেন, দেশাচার ছলে কিম্বা বন্ধন করিলে শরীরের খণ্ড ইতস্তত পড়িবেক না, এরূপ বাক্য কৌশলে, পরলোক শাসন হইতে নিস্ক,তি হইতে পরিবে না। ’ 謙 আর ২৬ পৃষ্ঠ অবধি লিখেন, যে অলপ জ্বলন্ত চিতাগ্নিদাহকের তৃণ কাঠাদি দ্বারা ঐ স্ত্রীর অনুমতি ক্রমে চিতাকে প্রজ্বলিত করে, তাহারদের পুণাই হয়,যে হেতুক বেতন গ্রহণ না করিয়া পরের পুণ্য কার্যোর আনুকল্য যে করে,তাহার অতিশয় পুণ্য হয়; এবং মৎস্যপুবাণীয় স্বর্ণকারের ইতিহাস লিথিয়াছেন, যে পুণ্য কৰ্ম্মের আনুকূল দ্বারা অতিশয় ফল পাইয়াছে ॥ ইহার উত্তর –এই প্রকরণের পূর্ব পরিচ্ছেদে লেখা গিয়াছে, অর্থাৎ যদি জ্ঞান পূর্বক বন্ধন করিয়া রহৎ বাঁশ দিয়া ছুপিয়া স্ত্ৰীবধ করা পুণ্য কৰ্ম্ম হইত, তবে আমুকলা কৰ্ত্তারদেব পুণ্য হইবার সম্ভাবন ছিল। কিন্তু ষ্টতা অতান্ত নিষিদ্ধ দারুণ পাতক, অতএব ইহার প্রযোজকের স্ত্রীবধের প্রতিফল অবশ্যই পাইবেক । শেষ পরিচ্ছেদে আদ্যোপান্তের শিষ্ট ব্যব হারের প্রদর্শন তিন বচনের দ্বারা দিয়াছেন ; প্রথমত এক কপোতিকা । স্বামির সহিত অগ্নিতে প্রবেশ করিয়াছিল, দ্বিতীয় কুটীরাগ্নির দ্বারা প্লুতরা ন্টে ৭ শরীর দাহকালে গান্ধারী অগ্নি প্রবেশ করিলেন, আর বসুদেব বলরাম প্রত্নায়াদির স্ত্রী সকল তাহারদের শরীরের সহিত অগ্নি প্রবেশ করিগেন ; এ তিন বৃত্তান্ত দ্বাপরে শেষে অলপ কাল পূর্ব পশ্চাৎ হইয়াছিল, অতএব আদ্যোপান্ত প্রদর্শন করিবার নিমিত্তে অন্য অন্য উদাহরণ মাপমকাকে দেওয়া উচিত ছিল ; সে যাহা হউক, আপনকার বিদিত অবশ্য থাকিবেক, যে পূর্বকালেও একালের নায় কতক লোক মোক্ষার্থী কতক ইণার্থী ছিলেন, এবং কতক পুণ্যাত্বা কতক পাপাত্মা কতক আস্তিক কতক