পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २१७ } আপন স্ত্রী মৈত্ৰেয়াকে উপদেশ করিয়াছেন, মৈত্রেয়ী ও তাহার গ্রহণ পূর্বক কৃতাৰ্থ হয়েন । দ্বিতীয়ত তাহারদিগকে অস্থিরান্তঃকরণ কহিয়া থাকেন, ইহাতে আশ্চর্যা জ্ঞান করি, কারণ যে দেশের পুরুষ মৃত্যুর নাম শুনিলে মৃত প্রায় হয়, তথাকার স্ত্রীলোক অন্তঃকরণের স্থৈৰ্য্য দ্বারা স্বামির উদ্দেশে অগ্নি প্রবেশ করিতে উদ্যত হয়, ইহা প্রত্যক্ষ দেখেন, তথাচ কহেন, যে তাহারদের অন্তঃকরণের স্থৈৰ্য্য নাই । & তৃতীয়ত বিশ্বাস ঘাতকতার বিষয়। এ দোষ পুরুষে অধিক কি স্ত্রীতে অধিক উভয়ের চরিত্র দৃষ্টি করিলে বিদিত হইবেক । প্রতি নগরে প্রতি গ্রামে বিবেচনা কর, যে কত স্ত্রী পুরুষ হইতে প্রতারিত হইয়াছে, আস্থ কত- পুর্বষ স্ত্রী হইতে প্রতারণা প্রাপ্ত হইয়াছে, আমরা অনুভব করি সে প্রতারিত স্ত্রীর সংখ্যা দশ গুণ অধিক হইবেক, তবে পুরুষের প্রায় লেখা পড়াতে পারগ এবং নন রাজকৰ্ম্মে অধিকাব রাখেন, যাহার দ্বারা স্ত্রীলে কের কোন এ রূপ অপরাধ কদাচিং হইলে সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত অনাযাসেই করেন, অথচ পুরুষে স্ত্রীলোককে প্রতারণা করিলে তাহ দোষের মধ্যে গণনা করেন না । স্ত্রীলোকের এই এক দোষ আমরা স্বীকার করি, সে আপনারদের ন্যায় অন্যকে শরল জ্ঞান করিয়৷ হঠাৎ বিশ্বাস করে, যাহার দ্বারা অনেকেই ক্লেশ পায় এপর্য্যন্ত যে কেহ কেহ প্রতারিত হইয়। অগ্নিতে দগ্ধ হয় । . চতুর্থ যে সাতুরাগী কহিলেন, লাঙ্গ উভয়ের বিবাহ গণনাতেই ব্যক্ত আছে, অর্থাৎ এক এক পুরুষের প্রায় তই তিন দশ বরঞ্চ অধিক পত্নী দেখিতেছি, আর স্ত্রীলোকের এক পতি সে ব্যক্তি মৰিলে কেহ তাবৎ স্লখ পরিত্যাগ করিয়া সঙ্গে মরিতে বাসন করে, কেহ বা যাবজ্জীবন অতিকষ্ট যে ব্রহ্মচৰ্য্য তাহার অসুষ্ঠান করে । $ 4 পঞ্চম তাহারদের ধৰ্ম্ম ভয় অলপ, এ অতি অধৰ্ম্মের কথা, দেথ কি পর্যন্ত দুঃখ, অপমান, তিরস্কার, যাতন, তাহার কেবল ধৰ্ম্ম ভয়ে সহি ষত করে। অনেক কুলীন ব্রাহ্মণ র্যাহারা দশ পোনর বিবাহ অর্থেব নিমিত্তে করেন, তাহারদের প্রায় বিবাহের পর অনেকের সহিত সাক্ষাৎ,