পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২১৩ ) .جنہ অজ্ঞানীও চিত্ত শুদ্ধির নিমিত্ত নিষ্কাম কৰ্ম্ম করিবেক । কৰ্ম্ম সজিদের কি প্রকার কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য তাহ ভূরি স্থানে ঐ গীতাতে লিখিয়াছেন । (কৰ্ম্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন) তুমি কৰ্ম্ম করিতে পার কিন্তু কৰ্ম্ম ফলেতে তোমার অধিকার কদাপি নাই ৷ যজ্ঞার্থাৎ কৰ্ম্মণোহন্যত্র লোকেইয়ং কৰ্ম্মবন্ধনঃ ॥ পরমেশ্বরের উদ্দেশ ব্যতিরেকে অর্থাৎ ফল কামনা করিয়া কৰ্ম্ম করিলে সে কৰ্ম্ম দ্বারা লোক বন্ধন প্রাপ্ত হয় । এবং স্মাৰ্ত্তষ্কৃত ষ্টযুদ্ধ বচন স্বয়ং নিশ্ৰেয়সংবিধান ন বক্ত্যজ্ঞায় কৰ্ম্ম হি। ন রাতি রোগিণে পথ্যং বাঞ্ছতেপি ভিষকৃতমঃ” আপনি জ্ঞানবান ব্যক্তি অজ্ঞানকে সকাম কৰ্ম্ম করিতে উপদেশ করেন না,যেমন রোগী মনুষ্য কুপথ্য প্রার্থনা করিলেও উত্তম বৈদ্য কুপথ্য দেন না। এবং এই প্রমাণানুসারে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য ব্যবস্থা লিখেন, “পণ্ডিতেনাপি মূখঃ কাম্যে কৰ্ম্মণি ন প্রবর্তবিতব্যঃ” পণ্ডিত ব্যক্তি মূখকে কাম কৰ্ম্মে প্রবর্ত করিবেন না । কি আশ্চৰ্য্য বিপ্রনাম রাগান্ধ হইয়। এই দেশ প্রসিদ্ধ গ্রন্থেও মনোযোগ করেন না। সপ্তম লিখেন, সহমরণাদির সঙ্কলপ বাক্যে ফলের উল্লেখ না করিয়া কাম্য কৰ্ম্ম করিলে’ সে কৰ্ম্ম অন্য কৰ্ম্মের ন্যায় চিত্ত শুদ্ধির কারণ হয় কি না। উত্তর --প্রথমত স্বামীর সহিত স্বৰ্গভোগ কামনা ব্যতিরেকে স্ত্রীলোকের অগত্যু হতাতে প্রবৃত্তি কদাপি হইতে পারে না, সুতরাং প্ররত্তির অভাবে শরীর দাহ ক্রিয়ার সম্ভাবনা নাই। দ্বিতীয়ত নিত্য ও নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম ব্যতিরেকে আত্মার পীড়া দ্বারা অথবা অন্যের নাশের নিমিত্ত যে তপস্যা তাহাকে তামস করিয়া গীতাতে লেখেন, এবং ঐ তামস কৰ্ম্ম কর্তা অধোগতি প্রাপ্ত হয় ইহাও ঐ ভগবদগীতাতেই লেখেন । “মূঢ়গ্ৰাহেণাত্মনোযৎ পীড়য়া ক্রিযতে তপঃ । পরস্যোৎসাদুনাৰ্থং বা তত্তামসমুদাহৃতং” ॥ “জঘন্যগুণৱত্তস্থা অধোগচ্ছস্তি তামসাঃ” । অতএব বিপ্রনাম যদি বিশেষ মনোযোগ করিয়া গীতা দেখিতেন তবে এ প্রশ্নও করিতেন না । মিতাক্ষরাতে কাম্য কৰ্ম্মের দ্বারা জীবন নাশের নিষেধ শুতিও বুঝি বিশেষ রূপে দেখেন নাই। "তন্মাদু হ ন পুরায়ুযঃ স্বপ্নকামী প্রেয়াৎ”। অতএব স্বর্গ কামনা করিয়া পরমায়ুঃ সত্বে আয়ুব্যয়ঃ করিবেক না অর্থাৎ মরিবেক না । এবং সহমরণাদি কাম্য কৰ্ম্ম সকল কামনা পরিত্যাগ