পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २४¢ ) উপাখ্যান ইহার প্রমাণ হয় এবং কলিতেও তন্ত্রানুসারে নর বলির প্রথা ছিল এবং একালেও দেশ বিশেষে হইতেছে, অতএব শাস্ত্র প্রাপ্ত এবং পরম্পরা ব্যবহার সিদ্ধ নরবলি অবশ্য কৰ্ত্তব্য, যদি কেহ কছে যে কামনা • পূর্বক কৰ্ম্ম গীতাদি শাস্ত্ৰ মতে নিন্দিত হয়, তবে বিপ্রনামা কহিবেন যে কামনা ত্যাগ পূর্বক নরবলি দান কেন না কর চিত্ত শুদ্ধি হইয়া মুক্তি হুইবেক । ধন্য ধন্য বিপ্রনাম। ধন্য অধ্যাপক । অষ্টম লিখেন যে গীতায় যদি ভগবান কাম কৰ্ম্মের নিষেধ করিয়াছেন তবে যুধিষ্টিরাদি যে কাম কৰ্ম্ম করিয়াছেন তাহার অনুকূল কি রূপে ছিলেন । উত্তর’—বিধি নিষেধাত্মক ভগবানের আজ্ঞানুসারে কৰ্ম্ম কর্তব্য এবং অন্যকেও সেই আজ্ঞানুরূপ উপদেশ করা কৰ্ত্তব্য “ঈশ্বরাণাং বচঃ সত্যমিত্যাদি ইহাতে যদি বিপ্রনাম ভগবানের বিধি নিষেধ বাক্যকে অতিক্রম করিয়া ভগবান যে যে কৰ্ম্ম করিতে অনুকুল ছিলেন তদনুরূপ কৰ্ম্ম করিতে পাণ্ডব প্রভৃতির ন্যায় উদ্‌যুক্ত হইলেন, তবে ইহার পর অৰ্জুনের সাক্ষাৎ মাতুল কন্যা স্বভদ্রাকে অজুন ভগবানের আমুকুল্যতায় বিবাহ করিয়াছেন এই নিদর্শনে স্ব শিষ্যের প্রতি এই রূপ ব্যবহারের উপদেশও দিতে সমর্থ হইবেন, এবং পঞ্চ পাণ্ডবের এক কন্য। বিবাহ কৃষ্ণানুকূল্যে হইয়াছে ইহাকেও বিধি জ্ঞান করিয়া ইহার নিদর্শন দেখাইয়া তদনুরূপ ব্যবহারের অনুমতি দিতেও সমর্থ হইতে পারিবেন। অতএব ইহা জিজ্ঞাস্য, যে এ প্রকারে গীত প্রভৃতি শাস্ত্রোক্ত ধৰ্ম্মের উচ্ছেদের জন্যে শাস্ত্রের নামকে বিপ্রনাম কেন অবলম্বন করেন। ব্ৰহ্মাদি দেবতার ও অবতারদের কৰ্ম্মান্নুরূপ ক্রিয় কর্তব্য এই ব্যবস্থা বিপ্রনামা প্রস্তুত করিয়াছেন, অতএব তদনুসারে ব্যবহারে বুঝি শীঘ্র প্রবর্ত হইবেন ইতি । মুগ্ধবোধ ছাত্র নামে দ্বিতীয় এক পৃথক পত্রী প্রকাশ হয় তাহাতে শাস্ত্র সংক্রান্ত যে কিঞ্চিং লেখেন, তাহার প্রথম এই “গীতার যে কয়েক শ্লোক সকাম কৰ্ম্ম নিন্দ বিষয়ে প্রকাশ হইয়াছে তাহার পূর্বাপর সমন্বয় না করিলে মীমাংসা হয় না” ॥ উত্তর –এস্থলে মুগ্ধবোধচ্ছাত্রের এই উচিত ছিল যে ভগবদগীতার যে যে শ্লোক প্রকাশ করা গিয়াছে তাহার কোন কৌন শ্লোকের কিম্বা কোনো এক শ্লোকের পূর্বাপর অর্থের সহিত বিরোধ