পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२१ ) কহে যে তুমি যবন শাস্ত্ৰ পড়িয়াছ ও শাস্ত্রের অর্থকে ছাপ করাইয়াছ সুতরাং স্বধৰ্ম্মচু্যত ত্যজ্য হও তবে তাহাকে কি শব্দে কহিতে পারি। যদি এক ব্যক্তি শূত্র স্বস্থানে ব্রাহ্মণকে দেখিয়া গাত্রোধান না করে ও স্বতন্ত্ৰ , আসন প্রদান না করিয়া আপনার আসনে বসাইয়। সেই ব্রাহ্মণের পাতিত জন্মায় কিন্তু সে অন্য শূজকে কহে যে তুমি ব্রাহ্মণকে মান না তবে তাহাকেইবা কি কহি । আর যদি এক ব্যক্তি বহুকাল স্লেচ্ছ সেৰা ও নেচ্ছকে শাস্ত্র অধ্যাপন করিয়া এবং ন্যায় দর্শনের অর্থ ভাষাতে রচনা পূর্বক ম্লেচ্ছকে তাহা বিক্রয় করিতে পারে সে আস্ফালন করিয়া অন্যকে কহে যে তুমি লৈচ্ছের সংসর্গ কর ও দর্শনের অর্থ ভাষায় বিবরণ করিয়া ম্লেচ্ছকে দেও অতএব তুমি স্বধৰ্ম্মচু্যত হও তবে সে ব্যক্তিকে কি কহ। উচিত হয়। বিশেষত দুই স্বধৰ্ম্মচুতের মধ্যে একজন আপনার ক্রট স্বীকার ও আপনাকে সাপরাধ অঙ্গীকার করে ও দ্বিতীয় ব্যক্তি আপনাকে পবিত্র জানিয়া অনাকে প্রাগলভ্য পূর্বক স্বধৰ্ম্ম রাহিত্য দোষ দেখাইয়া তাজ্য কহে তবে ঐ দ্বিতীয় ব্যক্তির প্রতি কি শব্দ প্রযোগ কর্তব্য হয় । যদি ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাজী কতেন যে পূৰ্ব্বোক্ত বচন সকল অর্থাৎ শূদ্রান্ন গ্রহণ ইত্যাদি দোধে জ্বলন্ত ব্রাহ্মণও পতিত হয় । ও সূর্য্যোদয়ানস্তর মুখ প্রক্ষালন করিলে সে পাপিষ্ঠের পূজাধিকার থাকে না । আর তাসনে পা রাখিয়া ভোজন করিলে গোমাংস ভোজন হয় । আর বাম হস্তে পাত্র উঠাইয়া জলপান করিলে সুরাপান হয়। এসকল নিন্দার্থবাদ মাত্র ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে শূদ্রান্ন গ্ৰহণাদি কৰিবেক না। তবে ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাজী যোগবশিষ্ঠের এই বচন যে সংসার বিষয়ে আসক্ত হুইয়। অ|পনাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানী কহে সে অস্ত্যজের ন্যায় ত্যজ্য হয় । তাহাকে নিন্দার্থ বাদ না কহিয়া কি প্রকারে যথার্থ বাদ কহিতে পারেন । সংসারের বিষয়ে আসক্ত হওয়া এবং আপনাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানী অঙ্গীকার করা জ্ঞান নিষ্ঠের জন্যে নিষিদ্ধ হয় ইহা কেন না ঐ বচনের তাৎপৰ্য্য হয় ৷ একথা যদি কহেন যে পূর্ব পূৰ্ব্ব বচনকে নিন্দার্থবাদ না কহিলে তাছার নিজের নিস্তার হয় না। আর যোগবশিষ্ঠের বচনকে যথার্থ বাদ না মানিলে জ্ঞানিদের প্রতি নিন্দ করিবার উপায় দেখেন না। তবে তিনি ধৰ্ম্মসংস্থাপন।