পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ミミタ ) কুজী সুতরাং আমরা কি কহিতে পারি। বস্তুতঃ যোগবশিষ্ঠের যে শ্লোক ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাজী লিখিয়াছেন তাহার অর্থ বিশেষ রূপে সেই যোগবশিষ্ঠের শ্লোকাস্তরের দ্বারা অবগত হওয়া উচিত তথচ যোগবশিষ্ঠে । "বহিৰ্ব্বাপরিসংরস্তোছদি সংকল্পবৰ্জ্জিতঃ । কৰ্ত্ত বহিরকর্তৃত্তিরেবং বিহর রাঘব” । অর্থাৎ বাহেতে ব্যাপার বিশিষ্ট মনেতে সংকল্প ত্যাগ আর বাহিরেতে আপনাকে কর্তা দেখাইয়া ও মনেতে অকৰ্ত্ত জানিয়া হে রামচন্দ্র লোকযাত্রা নিৰ্বাহ কর। অতএব জ্ঞানাবলম্বী অথচ ৰিষয় বা পার যুক্ত ব্যক্তিকে দেখিয়া দুই অনুভব হইতে পারে এক এই যে মনেতে আসক্ত হইয়া ব্যাপার করিতেছে দ্বিতীয় এই যে আসক্তি ত্যাগ পূৰ্ব্বৰ ব্যাপার করিতেছে। যেহেতু মনের যথার্থ ভাব পরমেশ্বরই জানেন তাহাতে দুজন ও খল ব্যক্তির বিরুদ্ধ পক্ষকেই গ্রহণ করিয়া থাকেন অর্থাৎ কহিবেন যে অসক্তি পূর্বকই বিষয় করিতেছে আর সজ্জন বিশিষ্ট ব্যক্তির উত্তম পক্ষকেই গ্রহণ করেন অর্থাৎ কহিবেন যে এব্যক্তি জ্ঞান সাধনে প্রৱত্ত হইয়াছে তবে বুঝি যে আসক্তি ত্যাগ পূর্বকই বিষয় করি, তেছে যেমন জনকাদির রাজ্য শাসন ও শক্র দমন ইত্যাদি বিষয় ব্যাপার দেখিয়া দুজনেরা তাহাদিগকে বিষয়াসক্ত জানিয় নিন্দ করিত এবং ভগবান কৃষ্ণ হইতে অর্জুন জ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া যুদ্ধ এবং রাজ্য করিলে পর দুজনেরা তাহাকে রাজ্যাসক্ত জানিয়া নিন্দিত রূপে বর্ণন করিত ইহা পূর্বে পূর্বে ও দৃষ্ট আছে । এ উদাহরণ দিবার ইহা তাৎপৰ্য্য নহে যে জনকাদির ও অর্জনাদির তুল্য এ কালের জ্ঞানসাধকেরা হয়েন অথবা ইদানীন্তন জ্ঞানসাধকের বিপক্ষেরা তাহদের মহাবল বরাক্রম বিপক্ষের তুল্য হয়েন তধে এ উদাহরণের তাৎপৰ্য্য এই যে সৰ্ব্বকালেই দুৰ্জ্জন ও সজ্জন আছেন আর দুর্জনের সর্বকালেই স্বভাব এই যে কোন ব্যক্তির প্রতি দোষ ও গুণ এই দুইয়েরি আরোপু করিবার সস্তাবনা থাকিলে সেখানে কেবল দোষেরি আরোপ করে আর সজ্জনের স্বভাব তাহার বিপরীত হয় অর্থাৎ দোষ গুণ দুইয়ের সস্তাবনা সত্বে গুণের আরোপ করিয়া থাকেন। ঐ ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাঞ্জির লিখিত যোগবশিষ্ঠ বচনে প্রাপ্ত হইতেছে যে যে ব্যক্তি বিষয় সুখে আসক্ত হয় আর কহে যে আমি