পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২২৯ ) ব্ৰহ্মকে জানি সুতরাং সে ত্যজ্য কিন্তু ইহা বিবেচনা কৰ্ত্তব্য যে ব্রহ্মনিষ্ঠ কদাপি এমত কহুেন না যে ব্রহ্মকে আমি জানি অতএব যে এমত কহে সে অবশ্যই কৰ্ম্ম ব্রহ্ম উভয় ভ্রষ্ট এবং ভাক্ত কৰ্ম্মির ন্যায় অধম হয় - কেনশ্রুতিঃ । “অবিজ্ঞাতং বিজানতাং বিজ্ঞাতমবিজানতাং” ॥ "অর্থাৎ যাহার ব্রহ্মের অগোচর স্বরূপ নিশ্চয় করিয়াছেন তাহারা অবশ্যই কহেন যে ব্রহ্ম স্বরূপ জ্ঞেয অাঁমাদের নহে আর যাহারা ব্রহ্মকে না জানেন র্ত্যহারা কহেন যে ব্রহ্ম আমাদের জ্ঞেয় হয়েন। তবে দুর্জন ও থলে অপবাদ দেয় যে তুমি আপনাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানি কহিয়া অভিমান কর এ পৃথক কথা । কোন এক বৈষ্ণব যে আপন বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের লক্ষাংশের একাংশ অনুষ্ঠান করে না ও বিপরীত ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ক্লরিয়া থাকে সে যদি কোন শাক্সের স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠানে ক্রটি দেখিয় তাহাকে ভাক্তশাক্ত কহে ওঁ বঙ্গে করে এবং কোন ব্রহ্মনিষ্ঠের স্বধৰ্ম্মানুষ্ঠানে ক্রটি দেখিয়া, তাহাকে ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী ও নিন্দিত কহে কিন্তু আপনাকে ভাক্ত বৈষ্ণব না মানিয়া ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজুকী এবং স্বৰ্ব্বজন হিতৈষী বলিয়। অভিমান করে তাহাকে বিজ্ঞ ব্যক্তিরা নিন্দকের মধ্যে অতিশয় নিন্দিত করিয়া জানিবেন কি না । জ্ঞান ও কৰ্ম্ম এই দুইকে সমানরূপে স্বীকার করিয়া এই পূর্বের পঙক্তি সকল লেখা গেল বস্তুতঃ কৰ্ম্ম ও জ্ঞান এ দুইয়ের অত্যন্ত প্রভেদ যেহেতু কৰ্ম্মের সম্যক অনুষ্ঠায়ী হইলেও জ্ঞাননিষ্ঠের মধ্যে অপ্রতিষ্ঠিত যে ব্যক্তি তাহার তুল্যও সে হয় না । তথাচ মুণ্ডকশ্রুতিঃ । “প্লবাহেতে অদৃঢ়। যজ্ঞরূপ। অষ্টাদশোক্তমবরং যেষু কৰ্ম্ম । এতচ্ছেয়োযেভিনন্দন্তি মূঢ়া: জরামৃত্যুং তে পুনরেবাপিযন্তি" ॥ অন্টাদশাঙ্গ যে যজ্ঞ রূপ কৰ্ম্ম তাহ সকল বিনাশী হয় ঐ বিনাশি কৰ্ম্মকে যে সকল ব্যক্তি শ্রেয় করিয়া জানে তাহার পুনঃ পুনঃ জন্মজর মৃত্যুকে প্রাপ্ত হয়। “অবিদ্যায়াং বহুধা বর্তমান বয়ং কৃতাৰ্থ ইত্যভিমন্যন্তি বালা । যুৎ কম্মিণোন প্রবেদয়ন্তি রাগাং তেনাতু রা: ক্ষীণলোকাশচাবস্তে” ॥ অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তি অজ্ঞান রূপ কৰ্ম্মকাণ্ডের অনুষ্ঠানে বহু প্রকারে নিযুক্ত থাকিয়া অভিমান করে যে আমরা কৃতকাৰ্য্য হই সে অজ্ঞান লোকের কৰ্ম্ম ফলের বাসনাতে অন্ধ হইয়া তত্ত্বজ্ঞান জানিতে পারে না অতএব সেই সকল ব্যক্তি কৰ্ম্ম ফল ক্ষয় হইলে দুঃখে ময়