পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৪৫

( ১৩৮ } চ্ছেদ অত্রিকচ্ছ পরিধান ও হাচি হইলে জীব ইহা না বলা এবং ভূমিতে পতিত হইলে উঠ এ শব্দ প্রয়োগ না করা যাহাতে ব্ৰহ্মহত্যা পাপ হয় এরূপ ক্ষুদ্র দোষে মহাপাতক শ্রীতি যে সকল বিষয়ে আছে তাহার ক্ষয়ের নিমিত্তে ঐ রূপ অণপাযাস সাধ্য অন্ন হিরণ্যাদি দানরূপ উপায়ও আছে | “ব্ৰহ্মহত্যাকৃতং পাপমন্নদানাৎ প্ৰণশ্যতি | সম্বর্তঃ । হিরণ্যদানং গোদান ভূমিদানং তথৈবচ। নাশয়ন্ত্যাশু পাপানি মহাপাতকজান্যপি । কুলার্ণবে । ক্ষণং ব্রহ্মাহমৰ্ম্মতি যং কুৰ্য্যাদাত্মচিন্তন । তং সৰ্ব্বপাতকং নশ্যেৎ তমঃ সূর্য্যোদয়ে যথা” । অর্থাৎ অন্ন দান করিলে ব্রহ্মহতা পাপ নষ্ট হয় । স্বর্ণ দান গো দান ভূমি দান ইহাতে মহাপাতক ও নষ্ট হয়। ব্ৰহ্ম ও জীব এই দুইয়ের অভেদ চিন্ত ক্ষণমাত্র করিলেও যেমন সূর্যোদয়ে অন্ধকার যায় তদ্রুপ সকল পাতক নস্ট হয়। অতএব সাধারণ দোষের সাধারণ প্রায শ্চিত্ত পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব শাস্ত্রকারেরাই লিখিয়াছেন । ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাজা বচন লিথিয়াছেন যে ব্রাহ্মণ স্বর্যপান করিলে প্ৰহ্মহত্য পাপগ্ৰস্ত এবং ব্রাহ্মণ হীন হয়েন এবং অন্য স্মৃতি বচনেও কলিতে ব্রাহ্মণেব মদ্যপান নিষিদ্ধ দেখিতেছি এসকল সামান্য বচন যেহেতু ইহাতে বিশেষ বিধি দেখিতে পাই শ্রুতিঃ { “সৌভ্রামনাঃ শু রাং গৃহীয়াং" সোলামনী যজ্ঞে সুরাপান করিবেক। ভগবান মনুঃ “নমাংস ভক্ষণে দোঘে। নমদে নচনে" অর্থাৎ প্রবৃত্তি হইলে যে প্রকার মদ্যপানে ও মাংস ভোজন এবং স্ত্রী সংসগে বিধি আছে তাহা করিলে দোষ নাই । কুঁলাণব ও মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র । “কলে যুগে মহেশানি ব্রাহ্মণীনাং বিশেষতঃ । পশুনসাং পশুর্নস্যাৎ পশু নস্যাৎ মমাজ্ঞয় ৷ অতএব দ্বিজাতনা মদপানং বিধায়তে দ্বেন্টার: কুলধৰ্ম্মাণাং বারাণীনিন্দকাশ মে। শ্বপচাদধমান্ড্রেয় মহাকিলিষকারিণঃ”। কলিকালে বিশেষত ব্রাহ্মণের। কদাপি পশু হইবেক না এই হেতু ব্রাহ্মণ প্রভৃতির মদ্যপান বিহিত হয় । যে সকল ব্যক্তি কুল ধৰ্ম্মের দ্বেষ এবং মদিরার নিন্দ করে সে সকল মহাপাতকী চণ্ডাল হইতে ও অধম হয় | পূৰ্ব্বেক্ত স্মৃতি বচনে সামান্যত স্বরাপানে নিষেধ বুঝাইতেছে আর পশ্চা তের লিখিত শ্রুতি স্মৃতি তন্ত্ৰ বচনে বিশেষ বিশেষ অধিকারে স্বরাপানে বিধি প্রাপ্ত হইতেছে অতএব দুই শাস্থের ‘ পরস্পর বিরোধ হইল তা হাতে ভগবান মহেশ্বর আপনি সিদ্ধান্ত করিয়াছেন ৷ ” অসংস্ক তঞ্চ মদ্যাদি মই ड्रे