পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ه ونچ ) অবশ্য জানিতেন যে দাস শব্দের প্রয়োগ সামান্য রূপে ভূতক ও আজ্ঞা বহের প্রতিও হয় কিন্তু মিতাক্ষরাতে যে স্থলে কৰ্ম্মকর শব্দের সমভিব্যহারে দাস শব্দের প্রয়োগ আছে সে স্থলে কৰ্ম্মকর ভিন্ন যে গৃহ জাতাদি পঞ্চ দশ প্রকার দাস তাহাকেই বুঝায় যেমন “ গোবলীবর্দ ” ইহাতে যদ্যপি গোশব্দ সামান্যত গাবী ও বলীবর্দ উভয়কেই কহে তথাপি বলী বর্দ শব্দের সাহচৰ্য্য প্রযুক্ত স্ত্রীগবীকেই এ স্থলে বুঝায়, বস্তুতঃ সামান্য ভূতক এবং আজ্ঞাবহেও দাস শব্দের প্রয়োগ শাস্ত্রে এবং মহাকবি প্ৰ স্লোগে প্রাপ্ত হইতেছে । সিদ্ধাস্ত কৌমুদীর উনাদি প্রকরণে পঞ্চম পাদে কোশ প্রমাণ দিতেছেন (দাসঃ সেবকশূদ্রযো: ) সেবাকারি মাত্রকে এ খানে দাস কহিয়াছেন (তমধীটোভুতোভূত ) ইত্যাদি পাণিনি সূত্রের ব্যাখ্যাতে ভূত শব্দের অর্থ স্মার্তভট্টাচার্য লিখেন যে (ভূতে ভূতিগৃহীতোদাসঃ) অর্থাৎ বেতন গ্রহণ পূর্বক যে কৰ্ম্ম করে তাহার প্রতি দাস শব্দের প্রয়োগ হয়, এবং মহাভারতে কৰ্ম্মকরের প্রতি ভীষ্মবাক্য ( অর্থসা পুরুষোদাসো দাসে হার্থে ন কস্যচিৎ । ইতি সত্যং মহারাজ বদ্ধোন্মাৰ্থেন কেীরবৈঃ ) পুরুষ অর্থের দাস কিন্তু অর্থ কাষ্ঠীৰ দাস নহে হে মহারাজ ইহা সত্য অতএব কৌরবদের নিকট অর্থের দ্বারা বদ্ধ আছি । ইহাতে এই ব্যক্ত হইল যে বেতনের দ্বারা কি পালনের দ্বারা অর্থ গ্রহণ করিলে দাস হয় যে হেতু বেতন বিনা কুরু হইত্বে পণ গ্রহণ ভীষ্মদেবের প্রতি কদাপি সম্ভব নহে; বিরাট পর্বে ভীমের প্রতি দ্ৰৌপদীর বাক্য (জ্বমেব ভীম . জানীযে যন্মে পার্থ স্থখং পুর। সাহং দাসত্বমাপন্ন ন শান্তিমবশী লভে) হে ভীম তুমি আমার পূর্ব সুখ জান এখন দাসীত্ব প্রাপ্ত হইয়া পরাধী নতা প্রযুক্ত পূর্ববৎ মুখকে পাই না । দ্রৌপদী বিরাটের গৃহে সৈরিন্ধী রূপে ছিলেন আর সৈরিন্ধী সে স্ত্রীকে কহি যে পরের গৃহে স্ববশে থাকে শিপ কৰ্ম্ম করে, অমর সৈরিন্ধী পররেশ্বাস্থ। স্ববশ শিল্পকারিকা) কিন্তু সৈরিন্ধী শব্দে গৃহজাতাদি পরবশ নীচ কৰ্ম্ম কারিণী স্ত্রীকে কহে না এবং ভারতের টীকাকারও সৈরিন্ধী শব্দের ব্যাখ্যাতে পরিচারিক ও দাসী দুই শব্দকে এক পৰ্য্যায় রূপে লিখিয়াছেন। পদ্মপুরাণে সত্য ধৰ্ম্ম রাজার প্রতি ইন্দ্রের বাক্য (নমস্তে পৃথিবীপাল ত্বং হি পুণাবতং বরং । নিজদাস