পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৭৮

( לרא ) ইহা সৰ্ব্বথ যুক্তি সিদ্ধ বটে কিন্তু বচনে “সর্ব" শব্দ অাছে ইহাকে নির্ভস্থ করিয়া এমত অর্থাস্তর যদি কম্পান, যে যাহারা যাহার কলিতে ব্রহ্ম কহিবেন তাহারা সকলে শিশ্নোদর পরায়ণ হয়েম তবে ভগবানু গোবিন্দ। চার্য্য ভগবান শঙ্করাচার্য্য শ্ৰীধর স্বামী প্রভৃতি যাহারা জ্ঞানানুষ্ঠান কলি- ' যুগে করিয়াছেন তাহাদের সকলকে এবচনের বিষয় কহিতে হুইবেক, ইহা কেবল রাগান্ধের কৰ্ম্ম হয় কি না পণ্ডিতেরা বিবেচনা করিবেন । তাধিকন্তু কীির প্রভাব বর্ণনে এরূপ সৰ্ব" শব্দ কথন সকল ধৰ্ম্মের প্রতিই আছে তাহাকে কলির দৌরাত্মা স্থচক অঙ্গীকার না করিয়া যথার্থই স্বীকার করিলে কোন ধৰ্ম্ম অাছে এমত স্থির হয় না, ক্রিয়াযোগসারে কলে সর্বে ভবিষ্যন্তি পাপ কৰ্ম্মরত জনা: | বেদবিদ্যবিহীনশ্চ তেম ? শ্ৰেয়: কথং ভবেৎ ) অর্থাৎ কলিযুগে সকল লোকই পাপ ক্রিয় রত এবং বেদবিদ্যা বর্জিত হইবেক অতএব তাহাদিগের মঙ্গল কি প্রকারে হইবেক । স্মার্ক্সধ্ৰুত বচন ( বিপ্রাঃ শূদ্র সমাচারা সন্তি সৰ্ব্বে কলে৷ যুগে ব্রাহ্মণ সকল শূদ্রের আচার বিশিষ্ট কলিযুগে হইবেন । এসকল বচনেও সৰ্ব্ব শব্দ প্রয়োগ দেখিতেছি অতএধ কলি দৌরাত্মা সূচক না কহিয়া ও সৰ্ব্ব শব্দের সংকোচ না করিয়া কৰ্ম্ম সংহারক যদি যথার্থবাদ কহেন তবে উভয় পক্ষেব সমান বিনাশ হইতে পারে । আমরা লিখিয়াড়িলাম যে পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব কালীন দুর্জেনেরও জনকার্জনাদিকে নিন্দ করত। এনিমিত্ত ৫ এবং ৫৫ পৃষ্ঠ আমাদের আত্ম শ্লাঘা দর্শাইয়। অনেক শ্লেষ ও ব্যঙ্গোক্তি করিয়াছেন,অতএব এস্থলে পূর্ব উত্তরে যাহা লিখিয়াছিলাম তাহাঁর পুনরুক্তি করিতেছি “ এ উদাহারণ দিবার ইহা তাৎপৰ্য্য নহে যে জনকাদি ও অৰ্জ্জুন দির, তুল্য একালের জ্ঞান সাধকেরা হয়েন অথবা ইদানীন্তন জ্ঞান সাধকেদের বিপক্ষেরা তাহা দের মহাবল পরাক্রম বিপক্ষেদের তুল্য হয়েন তবে এ উদাহারণ দিবার তাৎপৰ্য্য এই ষে সৰ্ব্বকালেই ुन ও সজ্জন আছেন, দুৰ্জ্জনের সর্বকা লেই স্বভাব এই যে কোন ব্যক্তির প্রতি দোষ ও গুণ এদুয়েরি আরোপ করিবার সম্ভাবনা থাকিলে সেখানে কেবল দোষেরি আরোপ করে কিন্তু সজ্জনের স্বভাব তাহার বিপরীত ছয় অর্থাৎ দোষ গুণ দুয়ের আরোপ সত্ত্বে $