পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ३ १५ } }তবচন ( শাস্তোবিনীতঃ শুদ্ধাত্মা শ্রদ্ধাবান ধারণক্ষমঃ । সমর্থক কুলীনশ্চ প্রাঙ্ক; সচ্চরিতোয়তিঃ । এবমাদি গুণৈযুক্তিঃ শিষ্যোভবতি নান্যথা) শমগুণ বিশিষ্ট অর্থাৎ অন্তরিক্রিয়ের নিগ্রহ বিশিস্ট ও বিনয়যুক্ত, চিত্ত, শুদ্ধি বিশিষ্ট, শাস্ত্রে দৃঢ়বিশ্বাসী ও মেধাবী, বিহিত কৰ্ম্মানুষ্ঠায় ক্ষম, আচারাদি গুণযুক্ত, বিশেষদর্শ, সচ্চরিত্র, যত্নশীল ইত্যাদি গুণ বিশিস্ট হইলে শিষ্য হয় অন্যথা শিষ্য হইতে পারে না ! এ বচনে “শিষ্যোভবতি নান্যথা ” এই বাক্যের দ্বারা এ সকল বিশেষণকে সাকার উপাসন বিষয়ে দৃঢ়তর রূপে কহিয়াছেন। যদি ধৰ্ম্মসংহারক কহেন যে “ এ সকল বিশেষণ উত্তমধিকারি শিষ্যের প্রতি হয় কিন্তু মধ্যম ও কনিষ্ঠাধিকারে এ সমুদায়ের নিয়ম নাই যেহেতু এরূপ সঙ্কোচ না করিলে সাকার উপা. সনাতে অধিকারী প্রায় পাওয়া যাইবেক না এবং জ্ঞান সাধন বিষ্ণুয়ে সাধন চতুষ্টয়ের সম্পূর্ণরূপে ইহ জন্মেই হওয়া আবশ্যক.এমত না কহিলে ব্রহ্মোপাসনার প্রকৃত্তিতে বাধা জন্মান যায় না ইহার উত্তর এই যে এরূপ কথন ধৰ্ম্ম সংহারকের স্থা চর্য্য নহে, কিন্তু পূৰ্ব্ব লিখিত বেদান্ত সূত্র ও ভগবদগীতায় প্রাপ্ত স্পন্টার্থকে যাহার। অমান করেন তাহদের সহিত আমাদের শাস্ত্রীয় বিঙ্গর নাই । ৬৪ পত্রে ২ পংক্তি অবধি লিখেন সে তত্ত্ব জ্ঞানীর লক্ষণ ভগবদগীতাতে কহিয়াছেন (দুঃখেসমৃদ্বিগ্নমনা: সুখেষু বিগতস্পৃষ্ঠঃ । বঁতিরাগভয়ক্ৰোধ: স্থিতধীমুনিরুচ্যতে ) দুঃখেতে অনুদ্বিগ্নচিত্ত ও সুখেতে নিসপূহ ও বিষয়। যুরাগ শূন্য, ভয় ক্রোধ রহিত এবং মুনি অর্থাৎ, মৌন শীল যে মনুষ্য । তাহার নাম স্থিতধী অর্থাৎ তত্ত্বজ্ঞানী হয় ৷ উত্তর –এ সকল স্বাভাবিক লক্ষণ সিদ্ধাবস্থার হয় কিন্তু সাধনাবস্থায় এ সমুদায় বিশেষণ ব্যক্তিতে নিয়ম করিলে সিদ্ধাবস্থা ও সাধনাবস্থা উভয়ের ভেদ থাকে না, গীতা (বহুনাং জয়নমস্তে দানবানু মাং প্ৰপদ্যতে। বাস্থদেবঃ সৰ্ব্বমিতি সমহাত্মা স্থদুল্ল ভ: ) চারি প্রকার ভক্তের মধ্যে চতুর্থ জ্ঞানী তাহাকে সৰ্ব্বোত্তম কহিয় তাহার সুদুল্ল ভক্ত কহিতেছেন যে এই চতুর্থ ভক্ত অর্থাৎ জ্ঞাননিষ্ঠ কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ পুণ্য বৃদ্ধির দ্বারা অনেক জন্মের অস্তে আত্মজ্ঞানকে লন্ধ হইয়। চরাচর এই সমস্ত জগৎ বাসুদেবই হয়েন এই ঐক্য