পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( રક્ત 3 ) হয়েন । ভগবদগীতাতে ভূরি সাধনের উপদেশের পরে গ্রন্থশেষে ভগবান পুনরায় সাধনাস্তরের উপদেশ দিতেছেন ( সৰ্ব্বধৰ্ম্মাম পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ, অহং ত্বাং সৰ্ব্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মাশুচঃ) সকল ধর্ম পরিত্যাগ করিয়া আমি যে এক আমার শরণ লও, বর্ণাশ্রমাচার ধৰ্ম্মত্যাগ করিলে তোমার যে পাপ হইবেক সে সকল পাপ হইতে আমি তোমায় মোচন করিব।” ভগবান মন্ত্রও তাবৎ বর্ণাশ্রমাচার কহিয়া গ্রন্থ শেষে ই হারি তুলাৰ্থ বচন কহিয়াছেন (য়থোক্তানপি কৰ্ম্মাণি পবিহায় দ্বিজোত্তম। আত্মজ্ঞানে শমে ঢ সাং বেদাভ্যাসে চ যত্নবান। এতদ্ধি জন্মসাফল্যং ব্রাহ্মশস্য বিশেষতঃ । প্ৰাপৈাতং কৃতকৃত্যোহি দ্বিজোভবতি নানাথ) পূর্বোক্ত কৰ্ম্ম সকলকে ত্যাগ করিয়াও আত্ম জ্ঞানে ও ইন্দ্র্যি নিগ্রহে ও প্রণব উপনিষদাদি বেদাভাসে ব্রাহ্মণ যত্ন করবেন, আত্মজ্ঞান ও বেদাভ্যাস ও ইন্দ্রিয় দমন দ্বারা ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য এ সকলের, বিশেষত ব্রাহ্মণের জন্ম সফল হয় যে হেতু এই অনুষ্ঠান করিয়া দ্বিজাতিরা কৃতকৃত্য হয়েন, অন্য প্রকারে কতকৃত্য হয়েন না । আর কোন কোন ব্রহ্মনিষ্ঠ অথচ গৃহস্থ সাধকের পবের লিখিত বিশেষণাত্রান্ত হয়েন, গীত (শব্দদীন্বিষযানন্যে ইন্দ্রিয়াগ্নিষু জুহ্বতি ) অর্থাৎ বিষয় ভোগ কালেও আত্মাকে নির্লিপ্ত জানিয়া ইন্দ্রিয়ের কৰ্ম্ম ইক্রিমই করেন এই নিশ্চয় করিয়া স্থিতি করেন। ইহারি তুলাৰ্থ বচনকে বিশেষরূপে ভগবান মলুঃ গৃহস্থ ধৰ্ম্মেয় প্রকরণে লিখিয়াছেন, ৪ তাধ্যায়ে ২২ শ্লোক ( এতানেকে মহাযজ্ঞান যজ্ঞ , শাস্ত্রবিদ্রোজনা । অনীহমানা: সততমিন্দ্রিয়েস্কেব জুহ্বতি ) অর্থাৎ যে সকল ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্তের বাহ এবং অন্তর যজ্ঞানুষ্ঠানের শাস্ত্রকে জানে তাহারা বাহে কোনো সজ্ঞাদির চেন্ট না করিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞানের অভ্যাস দ্বার চক্ষুঃ শ্রোত্র প্রভৃতি যে পাঁচ ইন্দ্রিয় তাহার রূপ শব্দ প্রভৃতি পাঁচ বিষ য়কে সংযম করিয়া পঞ্চ যজ্ঞকে সম্পন্ন, করেন । পুনরায় অনা সাধনের প্রকার গীতাতে কহেন “(অপানে জুহ্বতি প্রাণং প্রাণেই পানং তথাহপরে। প্রাণপিানগর্তা রুদ্ধ প্রাণায়ামপরয়ণা: ) অর্থাৎ কোন কোন ব্যক্তি পূরব ও কুস্তক ও রেচক ক্রমে প্রাণায়াম রূপ যজ্ঞ পরায়ণ হয়েন । এস্থৈ স্বামিঃত যোগশাস্ত্র বচন ( স: কারেণ বহির্যাতি হং কারেণ বিশেং পূনঃ