পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ミッ> ) প্রাণস্ত ত্ৰ সঞৰাহমহং সইত চিস্তয়েৎ ) অর্থাৎ নিশ্বাসের সময় প্রাণ বায়ু স কহিয়া বহির্গমন করেন, প্রশ্বাসের সময় হং কহিয়া প্রবিষ্ট হয়েন, অতএব সোহং হংসঃ, ইহারি চিন্তন সাধক করিবৈক ৷ ” ভগবান মন্ত্র ঐ ! গৃহস্থ ধৰ্ম্ম প্রকরণে তত্ত ল্যাৰ্থ বচন কহিতেছেন ২৩ শ্লোক (বাচ্যকে । জহ্বতি প্রাণং প্রাণে বাচঞ্চ সৰ্ব্বদা। বাচি প্ৰাণে চ পশ্যন্তে৷ যজ্ঞনিরতিমক্ষয়াং ) অর্থাং কোন কোন ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থ পঞ্চ যজ্ঞস্থানে বাক্যেতে নিশ্বাসের বহন করাকে g নিশ্বাসে বাক্যের বহন করাকে অক্ষয় ফলদায়ক ঘূদ্র জানিয়া বাক্যেতে নিশ্বাসেব বহন আর নিশ্বাসে বাক্যের বহন করেন। পুনরায় অন্য সাধন প্রকার গীতাতে লিখিয়াছেন, ( “ব্রহ্মাগ্লাবপরে যজ্ঞং যজ্ঞেনৈবোপজুহ্বতি ) কোন কোন ব্যক্তি ব্ৰহ্মরূপ অগ্নিতে ব্ৰহ্মাৰ্পণরূপ সঞ্জ দ্বারা যজন করেন । ভগবান মনু: ২৪ শ্লোকে তত্ত ল্যার্থ লিখেন জ্ঞানেনৈৰাপরে রিপ্রা যজস্তে তৈর্মুখঃ সদা । জ্ঞানমূলাং ক্রিয়ামেষাং পশন্তো জ্ঞানচক্ষুষা । ) কোন কোন ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থের গৃহস্থের প্রতি য়ে যজ্ঞ শাস্ত্রে বিহিত আছে তাহা সকল ব্রহ্ম জ্ঞানের দ্বারা নিম্পন্ন করেন তাহারা জ্ঞান চক্ষুদ্ধারা অর্থাৎ উপনিষদের দ্বারা জানিতেছেন যে পঞ্চ যজ্ঞাদি সকল ব্রহ্মাত্মক হয়েন। ইহার উপসংহারে ভগবান কুল্লক ভট্ট লিখেন যে (শ্লোকত্ৰয়েণ ব্রহ্মনিষ্ঠানাং বেদ সংন্যাসিনাং গৃহস্থানামমী বিধয়: ) বেদোক্ত কৰ্ম্মানুষ্ঠানত্যাগী অথচ ব্রহ্মনিষ্ঠ গৃহস্থদের প্রতি এই সকল বিধি কহিলেন । জ্ঞান প্রতিপত্তির নিমিত্ত নানাবিধ সাধন কহিলেন ইহার প্রত্যেকেতে উত্তম মধ্যম কনিষ্ঠ সাধক হইয়া থাকেন । বৈষ্ণব শাস্ত্রে ও সেই রূপ মোক্ষে পায় সাধন নানা প্রকার লিখিয়াছেন, শ্ৰীভাগ বতে একাদশস্কন্ধে ২৯ অধ্যায় ১৯ শ্লোক ( সৰ্ব্বং ব্রহ্মাত্মকং তস্য বিদ্যয়াত্মমনীষয়া। পরিপশান্ন পরমেং সৰ্ব্বতোমুক্তসংশয়ঃ। অয়ং হি সৰ্ব্ব কপোনাং সমীচীনোমতোমম । মদ্ভাবং সৰ্ব্বভূতেষু মনোবাককায়রুক্তিভিঃ) সৰ্ব্বত্র ঈশ্বর ব্যাপ্ত আছেন এই অভ্যাসের দ্বারা প্রাপ্ত হয় যে জ্ঞান তাহ ইতে সকল জগৎ ব্রহ্মাত্ম বোধ হয়, অতএব যখন সৰ্ব্বত্র ব্রহ্ম দৃষ্টি রূপ জ্ঞানের স্থিরত্ব হইল তখন সংশয় হীন হইয়া ক্রিয়ামাত্র হইতে নিৰ্ব্বত্ত হইবেক । যদ্যপি ও মোক্ষ সাধনে নানা উপায় আছে কিন্তু মনোৰাক্য V)や