পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २६१ } তাহাদিগকে জ্ঞান প্রদান করিয়া মুক্তি দিই। এখন ঐ বিজ্ঞ ব্যক্তিরাই দেখিবেন যে ভগবানের দত্ত তত্ত্বজ্ঞান যাহা ভক্তির সিদ্ধাবস্থায় প্রাপ্ত হয় তাহার দ্বারা ধৰ্ম্ম সংহারকের সর্বত্র ভগবদ ষ্টি হইয়াছে কি না। সুতরাং ইঙ্গর কোনো এক অবস্থা স্বীকার করিলে তাহার মতেই তাহার নিস্তার নাই, অর্থাৎ পূৰ্ব্বোক্ত প্রমাণে না অধিকারাবস্থা না সাধনাবস্থা না সিদ্ধ৷ বস্থা ইহার এক অবস্থাও স্বীকার করিতে পারিবেন না যদি এরূপ কহেন যে "পূৰ্ব্ব পূর্ব বচনে বিভক্ত বিষয়ে যে সকল বিশেষণ অধিকারাবস্থার ও সাধনাবস্থার কহিয়াছেন সে উত্তম অধিকারী ও উত্তম সাধকের প্রতি হয় কিন্তু ব্যক্তি ভেদে স্নাধনাবস্থা উত্তম মধ্যম কনিষ্ঠ ইত্যাদি নানা প্রকার হয় তবে ধৰ্ম্ম সংহারকই বিবেচনা করিবেন যে এরূপ কথন প্রতীক । অপ্রতীক উভয় উপাসনাতে নিৰ্ব্বাহের কারণ হইবেক এবং শাস্ত্রর ও অপলাপ হইবেক না। যথা মাওক ভাষ্য ধৃত কারিক আশ্রমান্ত্রিবি ৰাহীনমধামোংকৃষ্টদৃষ্টয়: ) অর্থাৎ আশ্রমিরা তিন প্রকার হয়েন, হীন দৃষ্টি, মধ্যম দৃষ্টি, উত্তম দৃষ্টি । আমরা পূর্ব উত্তরে লিখিয়াছিলাম যে কোন এক বৈষ্ণব যে আপন ধৰ্ম্মেয় লক্ষাংশের একাংশও অনুষ্ঠান করেন না ওঁ বিপরীত ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিয়া থাকেন তিনি যদি কোন ব্রহ্মনিষ্ঠের ক্রটি দেখিয় তাহাকে ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী ও নিদিত কহেন তবে তাহকে নিন্দকের মধ্যে অতিশয় নিন্দিত করিয়া পণ্ডিতেরা জানিবেন কি না । ইহাতে ধৰ্ম্ম সংহাবক ৬৮ পৃষ্ঠের ২ পংভিতে লিখেন যে “ পূৰ্ব্বোক্ত লিখনানুসারে ভাক্ত বৈষ্ণব ও ভাক্ত শাক্ত খপুষ্পের ন্যায় অলীক " ॥ উত্তর —জ্ঞান নিষ্ঠ দের যথোক্ত অনুষ্ঠানের ক্রটি হইলে ধৰ্ম্ম সংহারক তাহাকে ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী উৎসাহ পূর্বক কহেন কিন্তু আপন ধৰ্ম্মের লক্ষাংশের একাংশ অনুষ্ঠান না করিয়াও ভক্তি বৈষ্ণব পদের প্রয়োগ পাত্র হইবেন না ইহ স্থাপনা করিতে যত্ন করেন, এ পক্ষপাতের বিবেচনা পণ্ডিতেরা করিবেন। ১৯ পৃষ্ঠের ৬ পংক্তিতে লিখেন যে “যদ্যপি বৈষ্ণবাদ পঞ্চোপাসক আপনার আপনার উপাসনার সকল অনুষ্ঠান করিতে অশক্ত হয়েন তথাপি পাপ ক্ষয় ও মোক্ষ প্রাপ্তি র্তাহাদের অনায়াস লভ্য হয়, যে হেতু বিষ্ণু