পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৯২

( રશ્ન ઉ ) প্রভৃতি পঞ্চ দেবতার নাম স্মরণ মাত্ৰেই সৰ্ব্ব পাপ ক্ষয় ও অস্তে মোক্ষ প্রাপ্তি হয় ” এবং ইহার প্রমাণের নিমিত্ত নাম মাহাত্ম্য সূচক প্রভৃতির বচন লিখিয়াছেন। উত্তর –সে সকল বচন স্তুতিবাদ কি যথার্থবাদ হয় এ বিচারে আমরা প্রবৃত্ত নহি কিন্তু এই উত্তরের ২৫ংপুষ্ঠের । ১২ পংক্তি অবধি ২৫৮ পৃষ্ঠ পর্যন্ত জ্ঞাননিষ্ঠদের পাপক্ষয় ও পুরুষাৰ্থ সিদ্ধি বিষয়ে যাহা আমরা লিখিয়াছি তাহার তাৎপর্যা এই যে জ্ঞানবিলম্বিদের জ্ঞানাভ্যাস প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ হয়, সংপ্ৰতি সেই স্থলের লিখিত বচন সকলের কিঞ্চিৎ লিখিতেছি (সোহং সংসঃ সঙ্কংধ্যাত্বা স্কৃতে দুষ্ক তোপিব । বিন্ধুতকল্মষ: সাধু পরাং সিদ্ধিং সমশ্বতে ) অর্থাৎ স্বকৃত কিম্বা দুষ্কত পাক্তি জীব ও ব্রহ্মের ঐক্য জ্ঞান একবার করিলেও সৰ্ব্ব পাপক্ষয় পূৰ্ব্বক পরম সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়। ভগবদগীতার চতুর্থ অধ্যায়ে ৩০ শ্লোক (সর্বে পোতে যজ্ঞবিদে যজ্ঞক্ষয়িতকলাঘ : ) এই দ্বাদশ প্রকার ব্যক্তিরা স্ব স্ব যজ্ঞকে প্রাপ্ত হয়েন ও পূর্বোস্তু স্ব স্ব যজ্ঞের দ্বারা স্বকীয় পাপকে ক্ষয় করেন । বৈষ্ণব শাস্ত্রে ও স্ব স্ব অধিকারে পৃথক পৃথক পাপ ক্ষয়ের উপায় যাহা কহিয়াছেন তাহা ও ‘লিখিতেছি, শ্ৰীভাগবত একাদশস্কন্ধ, বিংশতি অধ্যায় ২৬ শ্লোক (যদি কৃষ্ঠাৎ প্রমাদেন যোগী কৰ্ম্ম বিগর্হিতং যোগেনৈব । দহেদঙ ঘোনান্যত্তস্ত্ৰ কদাচন। সে স্বেধিকারে যানিষ্ঠ সগুণঃ পরিকীর্তিতঃ) স্বামী, যদি প্রমাদেন্তে জ্ঞাননিষ্ঠ ব্যক্তি গঠিত কৰ্ম্ম করে সেই পাপকে জ্ঞানাভ্যাসের দ্বারা দগ্ধ করিবেক তাহার অন্য প্রায়শ্চিত্ত নাই ৷ স্বামীর তাধ তরণিকা, পরশ্লোকে, শাস্ত্রে কথিত প্রায়শ্চিত • ব্যতিরেক জ্ঞান যোগে, কি রূপে পাপক্ষয় হইবেক অতএব এই আশঙ্কা নিবারণার্থে পনের শ্লোকে কহিতেছেন, আপন আপন অধিকারে যে নিষ্ঠ তাহাকে গুণ কহি এক অধিকারে অন্য প্রায়শ্চিত্ত যুক্ত হয় না। এস্থলে জিজ্ঞাস্য এই যে ধৰ্ম্মসংহারকের লিখিত কাশীখণ্ড প্রভৃতির বচন যদি যথার্থবাদ হইয়। দেবতা প্রভূতির নাম গ্ৰহণাদি সাধনার ক্রাট জন্য দোষ ও অন্য কুকৰ্ম্ম জন্য পাপক্ষয়ের কারণ হয়,তবে পূর্বের লিখিত গীতাদি বচনের গ্রামাণ্য দ্বারা জ্ঞাননিষ্টদের পাপক্ষয়ের উপায় জ্ঞানাভ্যাস অবশ্যই হইবেক, ইহা ধৰ্ম্ম সংহারক ttB BBB DH BBB SBB BBBS BB BBBS BBBB BBBBSB BBBB S