পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ Rッb ) - করিব শোক করিও মা । এবং কোন স্থানে গীতাতে লিখেন যে ব্যক্তি বিশেষের কৰ্ম্ম ত্যাগ জন্য পাপস্পর্শে না এবং তাহার বাঞ্ছিত ফলাৎপ ত্তিতে অন্য কোন বস্তুর অপেক্ষ নাই, যথা (নৈব তস্য,কৃতে নার্থে নাঙ্কতেনেহ কশ্চন। ন চাস সৰ্ব্বভূতেষু কশ্চিদৰ্থব্যপাশ্রয়ঃ) সেই জ্ঞানির কৰ্ম্ম করিলে পূণ্য হয় না এবং কৰ্ম্ম না করিলেও পাপ হয় না, আব্রহ্ম কীট পৰ্য্যস্ত তাবৎ জগতে তাহার মোক্ষ প্রাপ্তি বিষয়ে জ্ঞান ব্যতিবেকে অন্য কোনো উপায় আশ্রযণীয় ছয় না ৷ ” অতএব ཨཱ་ཝི་ সকল বচনের ঐক্য নিমিত্তে কোন অধিকারে বর্ণাশ্রমাচার কৰ্ম্মের আবশ্যকতা এবং কোন অধিকারে অনাবশ্যকত, ইহার বিশেষ জ্ঞানের সর্বথা অপেক্ষ করে,নতুবা বচন সকলের পূর্বাপর অনৈক্য হইব অপ্রমাণ্যের আশঙ্কা হয়। বেদা স্তের তৃতীয় অধ্যায়ে চতুর্থ পাদে অধিকারের বিশেষ বিবরণ করিয়াছেন, তাহার প্রথম স্বত্র ( পুরুষার্থে তঃশব্দাদিতি বাদরায়ণ: ) বেদান্ত বিহিত আত্মজ্ঞান হইতে পুরুষাৰ্থ সিদ্ধ হয়, বেদবাসের এই মত যে হেতু বেদে ইহা কহিয়াছেন, শ্রুতিঃ (তরতি শোকমাত্মবিং) আত্মজ্ঞান বিশিষ্ট ব্যক্তি শোকের কারণ সংসাব হইতে উত্তীর্ণ হযেন (ব্রহ্মবিদাপ্নোতি পরং ) ব্রহ্ম জ্ঞান বিশিস্ট পরব্রহ্মকে প্রাপ্ত হযেন (সসর্বাংশ লোকানাপ্নোতি সৰ্ব্বাংশ্চ কামান ) সেই আত্মনিষ্ঠ সকল লোককে প্রাপ্ত হয়ে এবং সকল কামনাকে প্রাপ্ত হয়েন ইত্যাদি শ্রুতিঃ । . ইহাব পর দ্বিতীয় স্থত্র অবধি ২৪ সূত্র পর্য্যন্ত জৈমিনির মতকে লিখেন এবং তাহার খণ্ডন করিয়া ২৫ , সূত্রে ঐ প্রথম স্থত্রের অনুবৃত্তি করিতেছেন (অতএব চাগীন্ধনাদ্যনপেক্ষা ২৫ ) যে হেতু কেবল আত্মজ্ঞানের দ্বারা পুরুষাৰ্থ সিদ্ধ হয় অতএব অগ্নিহোত্র প্রভৃতি আশ্রম কৰ্ম্ম সকলের অপেক্ষ নাই । এই সূত্রের দ্বারা ংশয় উপস্থিত হয় যে আত্মজ্ঞান সৰ্ব্ব প্রকারে কৰ্ম্মের অপেক্ষা করেন না কি কোনো অংশে কৰ্ম্মের জপেক্ষা . করেন, তাহার মীমাংসা পরের সূত্রে করিতেছেন ( সৰ্ব্বাপেক্ষা চ যজ্ঞাদি শ্রতেরখবং । ২৬ ) আত্মজ্ঞান আশ্রম কৰ্ম্ম সকলের অপেক্ষ করেন, যে হেতু বেদে যজ্ঞাদিকে বিদ্যার কারণ কহিয়াছেন এমত শুনিতেছি, শ্রুতিঃ (তমেতং বেদায়ুবচনেন ব্রাহ্মণ বিবিদিষন্তি যজ্ঞেন দানেন তপসানাশকেন) সেই যে এই আত্মা তাহাকে