পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২৯৩ ) বিরক্তি হয়, তখন ইঞ্জিয়কে সংযত করিয়া জ্ঞানাভ্যাসের দ্বারা পরমাত্মাতে মনকে স্থির কবিবেক । ২২ শ্লোক, ( এষ বৈ পরমোষোগো মনসঃ সংগ্ৰহঃ মৃতঃ । হৃদয়জ্ঞত্বমূৰিছন দম্যস্যেবার্বনোমুহু: ) স্বামী, ক্রমশ মনকে বিষয়, হইতে নিৰ্বত্ত করিয়া আত্মাতে স্থির কর পরম যোগের উপায় হয় এনিমিত্ত এই সাধনকে পরমযোগ কহিয়াছেন যেমন অদম্য অশ্বকে দমন করিবার সময় তাহার অভিপ্রায় মতে কিঞ্চিৎ ঘাইতে দিয়া পুনরায় তাহাকে অশ্বগ্রাহ জুতে ধারণ পূর্বক আপন ৰাঞ্ছিত পথে লইয়; যায়। ২৩ শ্লোক ( সাংখোন সর্বভাবানাং প্রতিলোমান্তলোমত । ভবাপ্যয়বহুধ্যায়ন মনোযাবৎ প্রসাদতি) অর্থাৎ মন কিঞ্চিৎ বশীভূত হইলে তত্ত্ববিবেকের দ্বারা মহদাদি পৃথিবী পর্যন্ত তাবৎ বস্তুর ক্রমে উৎপত্তি ও বুৎক্রমে নাশ চিন্তা করি বেক যে পৰ্য্যস্ত মনের নৈশ্চলা না হয ৷ ভাগবত শাস্ত্রে কথিত কৰ্ম্মতুষ্ঠানের যে সীমা লেখাগেল তাহা ভগবদগীতার অনুরূপ কথুন হয়। গীত ( আরুরুক্ষোমুনের্যোগং কৰ্ম্মকারণমুচ্যতে । যোগাৰূঢ়স্য তস্যৈব শমঃ কারণমুচ্যতে ) জ্ঞানাবোঙ্গণে মে ব্যক্তির ইচ্ছ। তাহার ঐ আরোহণে বর্ণাশ্রমাচার কৰ্ম্ম কারণ হয়, সেই ব্যক্তি যখন যোগ রূঢ় হইল তখন তাহার জ্ঞান পরিপাকের নিমিত্ত চিত্ত বিক্ষেপক রি কৰ্ম্মের ত্যাগ ঐ জ্ঞান পরিপাকের কারণ হয় ৷ সেই যোগার তিন প্রকার হয়েন । প্রথম যদা হি নেন্দ্ৰিয়াৰ্থেষু ন কৰ্ম্মস্বনুষজ্যতে। সৰ্ব্বসঙ্গণপসংন্যাসী যোগারূঢ়স্তদোচ্যতে ) যেকালে সকল সদ্ধাপকে মনুষ্য ত্যাগ করে, অতএব ইন্দ্রিয় বিষয় সকলে ও কৰ্ম্মে আস হ্ল না হয় সেকালে তা হ্রাকে যোগারূঢ় কহ। যায়। এ প্রকার ব্যক্তি কনিষ্ঠ যোগারূঢ় হয়েন,কিন্তু উত্তম যে নিষ্কাম কৰ্ম্মী তাহার তুল্য বরঞ্চ শ্রেষ্ঠ হয়েন, যে হেতু ( এতান্যপি তু কৰ্ম্মাণি ) ইত্যাদি গীতার অষ্টাদশাধ্যায়ে ষষ্ঠ শ্লোকের এবং (কার্য্যমিত্যেব যৎ কৰ্ম্ম) ইত্যাদি নবম শ্লোকের প্রমাণে উত্তম ঘুে নিষ্কাম কৰ্ম্ম তাহারও সংকল্পত্যাগাধীন কৰ্ম্মে আসক্তি ও ফল কামনা থাকে না, অর্থাৎ কর্তৃত্বাভিমান থাকে নাই, কিন্তু জ্ঞানারোহণে উপক্রম না হওয়াতে নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান থাকে। পরে গীতাতে পূৰ্ব্ব হইতে শ্রেষ্ঠ যোগারূঢ়ের লক্ষণ কহিতেছেন। জানবিজ্ঞানতৃপ্তাত্মা কটস্থে বিজিতেন্দ্ৰিয়: যুক্ত ইতু্যচাতে যোগী সম