পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩০৪ } কিন্তু এস্থলে দুৰ্জ্জয়মান ও বড়াই বুড়ীর যাত্রা ইত্যাদির প্রমাণের উদ্দেশে শ্ৰীভাগবতের দ্বাত্রিংশদধ্যায়ে ও হরিবংশে প্রেরণ করেন, যে হেতু সামা . ন্যাকারে লিপিলে হঠাৎ অশাস্ত্র কথন ব্যক্ত হইতে পারে না, অতএব বিজ্ঞলোকে বিবেচনা কবিবেন যে এস্থলে ভাগবতের এক দুই বচন দুৰ্জ্জয মানে নাপিতনীর বেশ ধারণের বিষয়ে ঘৰ্ম্মসংহারকের লেখা উচিত ছিল কি না ? যদ্যপিও ভাগবতে ও হরিবংশে দৃষ্ট হয় যে ভগবান কৃষ্ণ ও র্তাহার পরিচরেরা পরস্পর বিলাস পর্বক কেহ কাহারে প্রহার ও পদাঘাত ও পরম্পব উচ্ছিাট ভোজন কবিয়াছেন এবং অন্যোন্যের বেশ ও ধরিয়াছেন ; যদি সেই দৃষ্টিতে ইদানীন্তন উপাসকেবা ঐ রূপ আচরণ করেন,তবে আপন আপন উভয় লোক নন্ট অবশ্যই কপিবেন কি না, অন্যেরা করিতেছে এ নিমিত্ত করিতেছি এই প্রমাণে যদি করেন তবে দুষ্কত হইতে নিবারণ কি হইবেক কেবল গড্রডরিক প্রবাহের মধে পতিত হইবেন । ৯৮ পৃষ্ঠে লিখেন যে “ মলিন চিত্ত ব্যক্তিদের জয় মান ভঙ্গাদি দর্শনে চিত্তের মালিন্য হওয়া কোন আশ্চর্য্য তাহাদিগের কলা ভগিনী পুত্ৰবধু প্রভৃতি দর্শনেও এই প্রকার হইতে পারে * উত্তর - তৎক্ত মেবৈতি কোন্ত্যে সদা তদাবভাবিত: ) । এই গীত বাকাচসারে যায় ধৰ্ম্মসংহারককে ও বিদিত থাকিবেক, ও সামান্য যুক্তি মতে, অগম্যাগমনে ও স্ত্রীলোকের সহিত বহু প্রকার ক্রীড়াতে ও নানাবিধ ব্যভিচার ভজনে ও সাধনে যে ব্যক্তিরা সৰ্ব্বদা চিত্ত মগ্ন করেন তাহা হইতে কনা ও ভগিনী ও পুত্রবধূ প্রভৃতি দর্শনে চিন্ত মালিন্যেল অধিক সম্ভাবনা হয় কি না ইহার মধ্যস্থ ধৰ্ম্ম সংহারকই হইবেন। ঐ পৃষ্ঠে সৰ্ব্বভাবেতে ভগবানের আরাধনা করিতে পারে, ইহার প্রমাণের উদেশে শ্ৰীভাগবতের বচন ধৰ্ম্মসংহারক লিখিয়াছেন, সে কামে অথব৷ দ্বেষে কিম্বা ভক্তিতে ইত্যাদি কোন ভাবে ঈশ্বরে চিত্ত নিবেশ করিলে উত্তম গতি প্রাপ্তি হয়, এবং অবহেলা ক্রমে ভগবন্নামোচ্চারণ করিলে পাপক্ষয়কে পায় । যদি ধৰ্ম্ম সংহারকের এই ব্যবস্থা স্থির হইল যে এই সকল মাহাত্ম্য সূচক বচনে নিৰ্বর করিয়া ভক্তি শ্রদ্ধাতে তাহার স্মরণ কীৰ্ত্তন করিলে যে পূণ্য হইবেক