পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ه هنا ) . তাহা দ্বেষ ও অবহেলাতেও হইতে পারে তবে বড়াই বুড়ীর দ্বার ও * বাস্থয়া প্রভৃতির প্রমুখাং ব্যঙ্গ বিদ্রুপে ভগবানকে যে পৰ্য্যন্ত পরিপূর্ণ করিতে পারেন করিবেন আমাদের হানি লাভ ইহাতে নাই ; • ধৰ্ম্মসংহারক ১% পৃষ্ঠ অবধি ১০৫ পৃষ্ঠ পৰ্য্যন্ত গৌরাঙ্গকে বিষ অবতার প্রমাণ করিতে উদ্যত হইয় অনন্ত সংহিতা এই গ্রন্থ কহিয়া বচন সকল লিখেন, যথা ( ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থীয় বিহরিষ্যামি তৈরছং । কালে নটং ভক্তিপথং স্থাপয়িষ্যমাহং পুনঃ কৃষ্ণশ্চৈতনাগৌরাঙ্গে গৌরচন্দ্রঃ শচীস্বত: । প্রভূগৌরহরিগেীরে নামানি ভক্তিদানি মে। ইত্যাদি)। উত্তর –এ' ধৰ্ম্মসংহারকের ব্যবহার পণ্ডিতেরা দেখুন, গৌরাঙ্গকে প্রাচীন ও নবীন গ্রন্থকারের কেহ কোন স্থানে বিষ্ণুর অবতার কহেন নাই, বরঞ্চ ঐ গৌরাঙ্গ মত স্থাপক তৎকালীন গোসাইরা, যাঁহাদের তুল্য পণ্ডিত ওমতে জন্মে নাই, তাহার যদ্যপিও গৌরাঙ্গকে, বিষ্ণু রূপে মানিতেন কিন্তু কোন প্রসিদ্ধ গ্রন্থে এ অনন্ত সংহিতার বচন সকল লিখেন নাই, যাহাতে গৌরাঙ্গ বিষ্ণর অবতার হয়েন ইহা স্পষ্ট প্রাপ্ত হয়, এখন বিজ্ঞ ব্যক্তির বিবেচনা করিবেন, যে এমত ব্যক্তি হইতে কি কি বিরুদ্ধ কৰ্ম্ম ন হইতে পারে যিনি গৌরাঙ্গকে অবতার স্থাপনের নিমিত্ত এ সকল । বচনকে ঋষি প্রণীত কহিয়া লোকে প্রসিদ্ধ করেন ; কিন্তু পণ্ডিতেরা এ সকল কলপনাতে কদাপি ক্ষুব্ধ হইবেন না, যে হেতু যে সকল পুরাণ ও সংহিতাদি শাস্থের প্রসিদ্ধ টীকা না থাকে তাহার বচনের প্রামাণ্য প্রসিদ্ধ সংগ্রহ কারের প্লুত হইলেই হয়, এই সৰ্ব্বত্র নিয়ম আছে, তাহার কারণ, এই যে এরূপ ধৰ্ম্মসংহারক সৰ্ব্ব ক’লেই আছেন, কথন গৌরাঙ্গকে অবতার করিবার উদ্দেশে অনন্ত সংহিতার নাম লইয়া দুই কি দুই শত স্বল্পস্টপ ছন্দের শ্লোক লিখিতে অক্লেশে পারেন, কখন বা নিত্যানন্দের অবতার স্থাপনার জন্যে নাগ সহিত কহিয়া দুই চারি বচন লিখিবার কি অসাধ্য র্তা ছাদের ছিল, কখন বা ফণিসংহিতা নাম দিয়া অদ্বৈতের প্রমাণের নিমিত্ত চারি পাঁচ শ্লোক প্রমাণ দিতে পারিতেন, বরঞ্চ কঙ্কট সংহিতার নাম লইয়। এই ধৰ্ম্মসংহারক ধৰ্ম্ম সংস্থাপক রূপে অবতীর্ণ হওয়ার প্রমাণ দিতে সেই সকল লোকের আশ্চৰ্য কি, অতএব ঐ সকল @总