পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩১৫

( ابواهده ) যাহার শব্দ ব্রহ্ম তাহার সহিত শাস্ত্রীয় আলাপ যদ্যপিও কেবল বৃথা শ্রমের কারণ হয়, তথাপি কেবল অনুকম্পাধীন এ পর্যন্ত চেষ্টা করা যাইতেছে।. ইতি শ্ৰী ধৰ্ম্মসংহারকের প্রথম প্রশ্নের দ্বিতীয় উত্তরে অমু* কম্পাসূচকে নাম তৃতীয পরিচ্ছেদ । সমাপ্তঃ প্রথম প্রশ্নোত্তরঃ । --SumitaBot (আলাপ) ১০:০১, ৩০ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) দ্বিতীয় প্রশ্নোত্তর । — ধৰ্ম্মসংহারকের দ্বিতীয় প্রশ্নের তাৎপর্যা এই ছিল, যে সদাচার বদ্ব্যরহার হীন অভিমানির যজ্ঞোপবীত ধারণ নিরর্থক হয়, তাহার উত্তরে আমরা লিখিয়া ছিলাম যে সদাচার ও সদ্ব্যবহার শবদ হইতে র্তাহার যদি এ অভিপ্রায় হয়, যে তাবং উপাসকের ও অধিকারির যে আচার ও ব্যব হার তাহাকেই সদুচাব ও সদ্ব্যবহার কহা যায়, তবে তাবৎ উপাসকের ও অধিকারির আচার ও ব্যবহার এক ব্যক্তি হইতে এক কালে কদাপি সম্ভব হয় না ; যে হেতু বৈষ্ণব ও কোল প্রভূতির আচাপ ও ব্যবহার পরস্পর অত্যন্ত বিরুদ্ধ হয়, এমতে ধৰ্ম্মসংহারকের এবং অন্যের কাহারও যজ্ঞো পবীত ধারণ সন্তবে না, দ্বিতীয়ত যদি আপন আপন উপাসনা বিহিত যে সমুদায় আচার তাহাই সদাচার সদ্ব্যবহার ইহা ধৰ্ম্মসংহারকের অভিপ্রেত হয়, এবং তাহার অকরণে যজ্ঞোপবীত ধারণ রূপা হয়, এমতে যে যে ব্যক্তি আপন উপাসনার সমুদায় আচার করিতে সমর্থ না হয়েন তাহার যজ্ঞো পবীত ধারণে অধিকার, না থাকে তবে প্রায একালে যজ্ঞোপবীত ধারণে অধিকারী প্রাপ্ত হইবেক না । তৃতীয়তঃ সদাচার ও সদ্ব্যবহার শব্দ দ্বারা আপন আপন উপাসনা বিহিত যথা শক্তি অনুষ্ঠান করা ধৰ্ম্ম সংহারকের যদি অভিপ্রেত হয়, ও যে যে অংশের অনুষ্ঠানে ক্রটি জন্মে তন্নিমিত্ত মনস্তাপ ও স্ব স্ব ধৰ্ম্ম বিহিত প্রায়শ্চিত্ত করিলে যজ্ঞসূত্র ধারণ বৃথা হয় না, তবে এব্যবস্থানুসারে ধৰ্ম্ম সংহারকের এবং অন্য অন্য ব্যক্তিরও যজ্ঞোপবীত রক্ষা পায়। চতুর্থ যদি ধৰ্ম্ম সংহারক কহেন যে মহাজন সকল যাহা করিয়া আসিতেছেন তাহারই নাম সদাচার সদ্ব্যবহার হয়, তাহাতে জিজ্ঞাস্য ছিল যে মহাজন শব্দে কাহাকে স্থির করা যায় ; যেহেতু