পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩১৩ ) রূপে দেখাইতেছেন এবং রামায়ুজ ও গৌরাঙ্গীয় প্রভৃতি সম্প্রদায়ের আপন আপন অঙ্গীকৃত মহাজম পরম্পরাতে আগত আচার প্রবাহকে সদ্ব্যবহাররূপে দেখাইতেছেন, তাতএব ਿਸ਼ਿ যে এমনু কচন দ্বারা • আমাদের কোন কোটির কি নিরাস করিয়াছেন । wo ১১৮ পৃষ্ঠে ৬ পংক্তিতে লিখেন যে স্মৃতিঃ । ব্যবহারোপি সাধূমাং প্ৰমাণং বেদবদবে২) অর্থাৎ সাধু ব্যক্তিদের যে ব্যবহার সেও বেদের ন্যায় প্রমাণ হয়” । উত্তর –প্লদাপিও এই বচনে ( সময়শ্চাপি সাধূনাং প্রমাণং বেদবদবেং ) এই পাঠ স্মার্ত ভট্টাচার্য্য লিখিয়াছেন, তথাপি যদি কোনো অন্য স্মৃতিতে ঐ ধৰ্ম্ম সংহারকের লিখিত পাঠ থাকে তাহা হইলেও আমাদের পূর্বোস্ত চতুর্থ কোটিতে পর্যাবসান হয় ; অর্থাৎ লোকে আপন আপন সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ব্যক্তিদিগ্যেই মহাজন ও সাধু জ্ঞান করিয়া থাকেন, যেহেতু তাহাদেব আচার ব্যবহারকে সাধু ব্যক্তির আচার ও ব্যবহার না জানিলে তাহার অনুষ্ঠানে কেন প্রৱত্ত হইতেন, কিন্তু অন্য সম্প্রদায়ের লোকে তাহাদিগো সাধু ও মহাজন কি কহিরেন বরঞ্চ তদ্বিপবঁীত জানেন । * ১১৮ পৃষ্ঠের প্রথমে স্বয়ং ধৰ্ম্ম সংহারক সাধুর লক্ষণ করিয়াছেন যে “অহঙ্কার হিংস দ্বেষাদি রহিত সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয় ধাৰ্ম্মিক ও শাস্ত্রজ্ঞ যে ময়ূষ্য র্তাহার নাম সাধু” । উত্তর –এস্থলে হিংসা শব্দে অবৈধ হিংসা ধৰ্ম্ম সংহারকের অভিপ্রেত অবশ্য হইবেক নতুবা বশিষ্ঠ, অগস্ত্যাদি ও তাবৎ যাঙ্গিক ও বিহিত মাংস ভোজী মুনিদের কাহারও সন্ধুত্ব থাকে না,অতএব , ধৰ্ম্ম সংহারকের লিখিত যে সাধু শব্দের লক্ষণ তাহা আপন আপন সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ব্যক্তিতে ছিল ইহা সকলেই কহেন; নতুবা আপন সম্প্রদায়ের মহাজনকে অহঙ্কারী, হিংসক, দ্বেষ্ট, অসত্যবাদী,অজিতেন্দ্ৰিয়, অধাৰ্ম্মিক, অশাস্ত্রজ্ঞ জানিলে তাহদের মতে অনুগমন করিতে কেন প্রবৃত্ত ইষ্টতেন । ১১৬ পৃষ্ঠে ১৭ পংক্তিতে সন্ধ্যা করণের আবশ্যকতা দশাইবার নিমিত্ত বচন লিখিয়াছেন। উত্তর —যাজ্ঞবল্ক্য লিখেন যে (সা সন্ধ্য স চ গায়ত্রী দ্বিধাভূত প্রতিষ্ঠিত ) সেই সন্ধা সেই গায়ত্ৰী দ্বিরূপে অবস্থিত আছেন, 89.