পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩১৫ ) ১২, পৃষ্ঠে ৮ পংক্তিতে ধৰ্ম্ম সংহারক লিখেন যে “ কাছার , ব্রাহ্মণ জাতি হইয় তজ্জাতির অত্যাবশ্যক, কৰ্ম্মেও জলাঞ্জলি প্রদান করিয়াছেন তাহারা স্বধৰ্ম্ম চু্যত কি যাহারা অাদর পূর্বক তজ্জাতির . আবশ্যক কৰ্ম্ম করিতেছেন তাহারা স্বধৰ্ম্মচ্যুত হয়েন ”। উত্তর – এই উত্তরের ২৫০ পৃষ্ঠে গৃহস্থ ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তিদের যে আবশ্যক কৰ্ম্ম তাহ এবং ২৪৮ পৃষ্ঠ অবধি কৰ্ম্মিদের যে আবশ্যক কৰ্ম্ম তাহ বিবরণ পূর্বক লিখা গিয়াছে বিজ্ঞ ব্যক্তির বিবচনা করিবেন যে কোন পক্ষে জলাঞ্জলি প্রদানের উল্লেখ করা যায়। § ১১৮ পৃষ্ঠের ১৬ পংক্তিতে লিখেন যে “ নানা মুনি বচন সত্বে বিধবার বিবাহের নিরক্তির ব্যবহার এবং মদ্য পানে ও হিংসার প্রাবৰ্ত্তক প্রমাণ সত্ত্বেও তাহার আকরণের ব্যবহার ইত্যাদি সদ্ব্যবহার হয় ইহার বিপরীত অসদ্ব্যবহাব ” । উত্তর । —বিপবীব বিবাহ তাবৎ সম্প্রদায়ে অব্যবহার্য্য হইয়াছে সুতরাং সদ্ব্যবহার কচাইতে পারে না, কিন্তু বিহিত মদ্যপান ও বৈপহিংসা সলোকেদের মধ্যে অনেকের ব্যবহার্য্য অতএব তত্তৎপক্ষে সে সৰ্ব্বথা সদাচার ও সদ্ব্যবহারে গণিত হইয়াছে। এই প্রকরণের শেষে সাঙ্গ লিখেন ন্যাচার তাৎপৰ্মা এই সে পূর্ব পুরুষের আচার ও ব্যবহারকে মনুমো সদাচীর সদ্ব্যবহার রূপে স্বীকার করিয়া থাকেন। উত্তর –ইহার সিদ্ধান্ত তামরা প্রথম উত্তরের পঞ্চম কোটিতেই করিয়াছি যে কেবল আপন আপন পূৰ্ব্ব পুরমের আচার ও ব্যবহার যদি সদাচার সদ্ব্যবহার হয় তবে সদাচার ও সদ্ব্যবহারেব নিয়মই থাকে না এবং শাস্ত্রের বৈফল্য - হয়, সেহেতু প্রত্যেক ব্যক্তি আপন পিতৃ পিতামহের কি ধৰ্ম্মাংশের কি অধৰ্ম্মাংশের ব্যবহার দৃষ্টিতে ব্যবহার করিলে এই মতানুসারে সদাচারী ও সদ্ব্যবহারী হইবেক ; বিশেষত পুরাণে ৪ ইতিহাসে এবং লৌকিক প্রত্যক্ষ স্তানে স্থানে দেখিতেছি যে লেমকে পূর্ব পুরুষের উপাসনা ও আচার ভিন্ন উপাসনা ও আচাৰ করিম আসিতেছেন ইহাতে শাস্ত্রত, ধৰ্ম্মত, লোকত, কোন হানি হয় নাই । ? ধৰ্ম্মসংহারক ঐ দ্বিতীয় প্রশ্নে কহেন ঘে সাহারা নিজে সদাচারহীন, অথচ আপনাকে ব্ৰহ্মজ্ঞানি করি মানেন, তাহদের তবে অনাদর পূর্কক