পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ లిసి ) লিখিতেছি । ১৬ পংক্তি, “ তুষ্টান্তঃকরণ দুর্জনদিগের আন্তবিক . ভাব বোধ করিতে বুঝি বিধাতাও ভগ্নোদ্যম ”। ১৩১ পৃষ্ঠে ৫ পংক্তিতে “ হায় হায় একি অদৃষ্ট এত কষ্ট তথাপি না তাতিকুল , ন বৈষ্ণবকুল একুল ওকুল দুইকূল নট ' । ১৩৮ পৃষ্ঠে “ ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানিদের দুৰ্ব্বোধ দূরে যাউক কি মধুর বচন শুনিতে পাই অন্তঃক রণে পুলকিত হই ”। ১৪৭ পৃষ্ঠে ১৬ পংক্তিতে “ লোকযাত্রা শব্দে কেবল মদ্যমাংস ভোজনাদি এই অর্থ কি মহাদেব তাহার কানে কানে কহিয়াছেন " এখন বিশিষ্ট লোকেরা বিবেচনা করিবেন যে শাস্ত্রীয় বিচারে এসকল উক্তি পণ্ডিতেরা করেন কি জঘন্য নীচেরা এই সকল কদৃক্তিকে সরস বাঙ্গ বোধ করিয়া ও তদযোগ লোকের প্রশংসার নিমিত্ত উল্লেখ করিয়া থাকে, সে যাহা হউক আমাদের নিয়মনুসারে এসকল কটুক্তির উত্তর দিদার প্রয়োজন নাই কিন্তু ঐ সকল পৃষ্ঠের মধ্যে দে কিঞ্চিৎ শাস্ত্রীয় কথা আছে তাহার উত্তর লিখিতেছি । ১২৬ পৃষ্ঠে লিখেন যে “তত্ত্বজ্ঞানির হিংসা মাত্রই অবিহিত হয় কিন্তু যে যে কৰ্ম্মে হিংসাব বিধি আছে সেই সকল কৰ্ম্মে তাহাদিগের প্রতি অন্তকণেপব বিধান করিয়াছেন”। উত্তর -তত্ত্ব জ্ঞানি শব্দের মূখ্যার্থ প্রাপ্ত জ্ঞান ব্যক্তির হয়েন, তাহদেৱ, প্রতি কৰ্ম্মেরি বিধি নাই সুতরাং কৰ্ম্মের অঙ্গ যে হিংসা তাহার অযুকল্প সুদূর পরাহত হয়, ভগবদগীতা (নৈব তস্য কৃতেনার্থে নাকৄতেনেহ কশ্চন ) অর্থাৎ জ্ঞানের কৰ্ম্ম করিলে পুণ্য । নাই এবং কৰ্ম্ম ত্যাগে পাপ হয় না । বিশেষত তত্ত্বজ্ঞানিদের মধ্যে কেছ কেহ যেমন জনক বশিষ্ঠাদি দুখন লোক সংগ্রহের জন্যে যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম করিছিলেন তপন বিচিত হিংসা ও করিয়াছেন, অতএব তত্ত্বজ্ঞানির প্রতি জম্বুকল্পের বিধি দিয়াছেন এরূপ কথন এমতেও অযুক্ত হয়। তত্ত্বজ্ঞানি শব্দে যদি প্রাপ্ত জ্ঞান না কহিয়া জ্ঞানেচ্ছুক অভিপ্রেত হয় তবে তারার সাধনাবস্থায় দুই প্রকার হয়েন তাহার উত্তম কম্প বর্ণাশ্রমাচার বিশিষ্ট সাধক ও কনিষ্ঠ কণপ বর্ণাশ্রমাচারহীন সাধক, তfহাতে বর্ণাশ্রমাচার বশিষ্ট সাধকের হিংসাত্মক নি । নৈসূিত্তিক যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য হয় ।