পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩২৪ ) র্যাহার নির্ভর তিনি সৰ্ব্ব যুগে বেদোক্ত বিধানে আর কলিযুগে বেদোক্ত কিম্ব আগমোক্ত বিধানে লোকাচার নির্বাহ করিবেন” অর্থাৎ ব্রহ্মনিষ্ঠের • লৌকিক র্যবহার কলিতে আগমোক্ত বিধানে করিতে সমর্থ হয়েন, এই বিবরণে মদ্য মাংস ভোজন এশব্দও নাই, তবে সৰ্ব্বদা মদ্য মাংস খাইবার লালসাতে ধৰ্ম্মসংহারক স্বপ্নে এবং জাগ্রদবস্থায় কেবল মদ্য মাংসই দেখিতে পান, সুতরাং এরূপ প্রশ্ন করা তাহার কি আশ্চৰ্য্য যে ( লোক, যাত্রা শব্দে কেবল মদ্যমাংসাদি ভোজন এই অর্থ কি মহাদেব তাহাব কাণে কাণে কহিয়াছেন ) বস্তুত শাস্ত্র কর্তাদের গ্রন্থ প্রকাশের তাৎপর্যা এই যে ঐ সকল শাস্ত্র মনুষ্যের সাক্ষাৎ কিম্বা পরম্পরায় কর্ণগোচর হয়, অতএব ভগবান মহেশ্বর ঐ বচন প্রাপ্ত “ যাত্রা ” শব্দের অর্থ আমাদের কৰ্ণে পরম্পরায় ইহা কহিয়াছেন যে সাংসারিক ব্যবহার অর্থাৎ সংস্কার ও বিত্তোপার্জন, পোষ্যবৰ্গ পালন ও আহারাদি, যাহা গৃহস্থের জনো ইহলোক নির্বাহে আবশ্যক, তাহা অাগমোক্ত বিধানে সম্পাদন করবেন ( লোকন্তু ভূবনে জনে ইত্যমরঃ, যাত্রা স্যাৎ পালনে গতে ইতি ) এবং ভগবান শ্ৰীধরস্বামী (শরীর যাত্রাপি চ তে ন প্রসিদ্ধ্যেদকৰ্ম্মণঃ) এই গীত বচনের অর্থে লিখেন যে, কৰ্ম্মমাত্রও যদি তুমি না কর তবে শরীর নির্বাহ ও হইতে পারে না, এস্থলে শরীর যাত্রা শব্দে শবীর "নিৰ্বাহ শ্ৰীধর স্বামীর কর্ণে ভগবান কৃষ্ণ কহিয়া ছিলুেন কি না ইহার নিশ্চব ধনুস, হরিক অদ্যপি বুঝি করেন না । আর ঐ বচন অবলম্বন করিয়া ১৯। • পৃষ্ঠে ১৭ পংক্তিতে দ্বিতীয় প্রশ্ন করেন যে ( ঐ বচনে জ্ঞানিদের স্ব স্ব ধৰ্ম্মানুসারে নিবেদিত মাংসাদি ভোজনই বা কি রূপে প্রাপ্ত হয় ”। উত্তর –আগামান্ত বিধানে যদি সংসার নির্বাহীর্থ আহারাদি করিতে ব্রহ্মনিষ্ঠ সমর্থ হইলেন তবে ব্রহ্মাপণ সংস্কারে আগম বিহিত মাংসাদি ভোজন অবশ্য প্রাপ্ত হইল ইহার বিশেষ বিবরণ পরিচ্ছেদের শেষে লিখা গেল পণ্ডিতেরা যেন অবলোকন করেন । আমরা প্রথম উত্তরের ২৩৬ পৃষ্ঠে লিখিয়াছিলাম যে (ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাজিরা কি রূপে জানিয়াছেন যে অনিবেদিত মাংস ভোজন ও পরম হর্ষে ছেদন কেহ কেহ করিয়া থাকেন তাহার বিশেষ খেন Aাই তিনি কি তত্তৎকালে উপস্থিত