পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৩৫

( ७२४ ) করেন তাহাকে অন্য কোনো ব্যক্তি অসং কৰ্ম্ম রূপে প্রমাণ করিবার ইচ্ছুক হইয়া পরে প্রমাণ করিতে অসমর্থ হইয়াও সেই সকল ব্যক্তির এতি কুকস্মি ও তাহদের সাহারকে অশুচি ইত্যাদি পদের উল্লেখ করেন, ইহাতেওঁ তাহাকে মৎসর না কহিয়া যদি স্বজনের মধ্যে গণিত করা যায় তবে দুজন ও মৎসর পদের বাচ্য প্রায় দুৰ্ল্লভ হইবেক । বস্তুত সজ্জনের যদি কাহারে। আহারকে দুষ্য ও কৰ্ম্মকে নিন্দিত জানেন তথাপি যে পৰ্য্যন্ত বিচার পূর্বক তাহার দৃষ্যত্ব প্রমাণ না করিতে পারেন কদাপি ভোজ্য ও ভোক্তার প্রতি দুৰ্ব্বাক্য কহেন না, বরঞ্চ বিচারে পরাস্ত করিলেও তাহার। সৌজন্যের বাধ্য হইয়া নীচের ভাষা কদাপি কহিতে সমর্থ হয়েন না । ১৫৫ পৃষ্ঠে লিখেন “কেহ কহারে প্রারব্ধ কৰ্ম্মের ভোগ কদাচ নিবারণ করিতে পারেন না তাহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ কীট পক্ষি গবাদি ও শূকর, ইহার উত্তম আহুর দ্বারা গৃহস্থের গৃহে প্রতিপালিত হইলেও প্রারন্ধেব গুণে পতঙ্গ উচ্ছিন্ট পত্র ও মলমূত্র ভক্ষণে ব্যাকুল হয়” । উত্তর।—এ উদাBBBBB BBS BBBS BBB BBB BB BBB BBS BBB BBBBD করিয়াছেন, যেহেতু বিশেষ ধনবত্ত থাকিতেও পশুর ও অগ্রহ দ্রব্যকে সৰ্ব্বাগ্রে ভক্ষণ করিতেছেন আর দেবতা এবং বশিষ্ঠাদি ঋষিরা ও রামকৃষ্ণ প্রভৃতি মূৰ্ত্তির যে মাংস দুর্লভ জানিয়া আহার কবিতেন, তাহা ত্যাগ করিয়া পর্যবিত শাক ও তিক্ত পত্রাদিকে অতি প্রিয় তাহার জ্ঞান করেন অতএব তাহার প্রতিই তাহার উদাহরণ অবিকল সঙ্গত হয় । . ১৫৬ ও ১৫৭ পৃষ্ঠে স্ত্রীতার বচনানুসারে আহারের সাত্বিকতা ও তামসত কহিয়াছেন “যে ভোগ্য ভোক্তার আয়ু, উৎসাহ, বল, আরোগ্য, সুখ প্রীতির বর্দ্ধক এবং মধুর স্নিগ্ধ স্থির ও হৃদয়ত হয় সেই ভোজন সাত্ত্বিকের প্রিয় তাহার নাম সাত্বিক—প্রহরাতীত, বিরস, দুর্গন্ধ, পর্য ষিত, উচ্ছিন্ট, অথবা অস্পৃশ্য এই প্রকার মে কদৰ্য্য ভোগ সেই তামসদিগের প্রিয় তাহার নাম তামসিক” । উত্তর –বিজ্ঞ লোক ঐ দুই বচনের অর্থ বিবেচন। করিবেন যে আয়ু উৎসাহ বল আরোগ্য ইত্যাদি বৰ্দ্ধন গুণ বুত মাংসাদি আহারে থাকে কি ঘাস মৃতমৎস্য ইত্যাদি আহারে জন্মে । এবচনস্থ ( রসাঃ) এই পদের অর্থ প্রধান লিখেন যে ( রসবন্ত: ) ধৰ্ম্মসংহারক