পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৩২ ) ভাবে মাদক দ্রব্য মাত্রের নিষেধ করিয়াছেন, যথা কুলাচ্চন চন্দ্রিক প্লুত কুর্জিকাতন্ত্র (পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং স্বয়মেবাহরেৎ পশুঃ—ন পিবেম্মাদকন্দ্রব্যং নামিষঞ্চাপি ভক্ষয়েৎ) তথা (সম্বিদাসবয়োর্মধ্যে সম্বিদেব গরীয়সী) ১৬৩‘পৃষ্ঠে ৬ পংক্তিতে লিখেন যে “ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাঙ্ক্ষিদের কোনো কোনো ব্যক্তির যৌবনাবস্থাতেও কেশ্নের শুক্লতা দৃষ্ট হইতেছে, যদি র্তাহারা জীবনের ੋਣ কলপের দ্বারা কেশের কৃষ্ণতা করিতেন তবে শুক্লতার প্রত্যক্ষ কি সপক্ষ কি বিপক্ষ কাহারো হইত না” । উত্তর —ধৰ্ম্ম সংহারকের নিয়মই এই যে প্রত্যক্ষ অপলাপ ও অযথার্থ কথনের দ্বারা জগৎকে প্রতারণা করিবেন, অদ্যাবধি এমত কলপ কোথায় জন্মিয়াছে যে একবার গ্রহণে কেশের শুক্লতা কি সপক্ষ কি বিপক্ষ কাহারও প্রত্যক্ষ ন! হয়? কলপ দিবার দুই তিন দিবস পরে কেশ বৃদ্ধি হইবার দ্বারা তাহার মুলের শুক্লতা সুপক্ষ বিপক্ষ সকলেরি প্রত্যক্ষ হয় । আর এই পৃষ্ঠের শেষে ধৰ্ম্মসংহারক বুঝি স্বপ্নে দেখিয়া লিখিয়াছেন যে অন্মদাদির মধ্যে কোনো কোনো ব্যক্তি কৃত্রিম দন্ত ও মেষের ন্যায় বক্ষঃস্থলের লোম মুগুন ও সমুদায় মস্তকের মুণ্ডন করিয়া থাকেন, এ উন্মত্ত প্রলাপের কি উত্তর আছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্মদাদির মধ্যে বাৰ্দ্ধক্যের প্রত্যক্ষ ভয়ে এরূপ করিয়া থাকেন, যাহা আমরা জ্ঞাত নহি, তবে তিনি ধৰ্ম্মসংহারকেরই তুল্য এতদংশে হইবেন । & ১৬৪ পৃষ্ঠে ১১ পংক্তিতে লিখেন যে ( যদি প্রধান ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানির •মানিত হইয়। কোনে কোনো ক্ষুত্র ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী মিথ্যা বাণী কহেন যে ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাক্তিক্ষ দিগের মধ্যেও কোনো কোনো ব্যক্তিকে জবলী গমনাদি করিতে.আমরা দর্শন করিয়াছি, তবে সেই সেই সাফির প্রামাণ্য কি রূপে হইতে পারে, যেহেতু শাস্ত্রে তাদৃশ স্তুষ্ট ব্যক্তিদিগের তাসাক্ষিত্ব কহিতেছেন)। উত্তর –প্রামাণ্য ভয়ে সাক্ষিকে দুষ্ট কহ কেবল ধৰ্ম্মসং রকেরই বিশেষ স্বভাব হয় এমত নহে, কিন্তু সামান্যত চোর ও ব্যভিচারী তত্তদোষ প্রমাণ হইবার সময়ে সাক্ষিকে দুষ্ট ও অপ্রমাণ কহিয়াই থাকে, বরঞ্চ গ্রামের সকল লোককে আপন বিপক্ষ কহিয়া নিস্তারের পথ অন্বেষণ করে, কিন্তু চোর দুরাচার জগতের মুখ রুদ্ধ করিয়া অস্বীকার বলে কবে