পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৩৩ } নিস্তার পাইয়াছে। ১৬৭ পৃষ্ঠে ১৬ পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন থে "প্রয়াগাদি সপ্ত আর প্রায়শ্চিত্ত চূড়া এই নয় প্রকার কেশ ছেদের নির্মিত্ত । হয় তাহার কোন নিমিত্ত প্রযুক্ত যে কেশ ছেদ তাহার নাম নৈমিত্তিক কেশ ছেদ" পরে ১৬৮ পৃষ্ঠে ৪ পংক্তিতে এই বচন লিখেন “প্রয়াগে তীৰ্থ । যাত্রায়াং মাতাপিত্রেগুরে মৃত্বে। আধানে সোমপানে চ বপনং সপ্তসু মৃতং)–প্রায়শ্চিত্ত ও চূড়াতে কেশ ছেদন প্রসিদ্ধই আছে” এস্থলে ক্লিঞ্জাস্য এই যে ঐ বচন প্রাপ্ত যে বপন শক তাহার তাৎপৰ্য্য যদি সৰ্ব্ব কেশ মুগুন হয়, তবে প্রয়াগ ও প্রায়শ্চিত্তাদি স্থলে কেবল ঐ বচনানুসারে ব্যবস্থার ব্যবহার দেখা যায় কিন্তু পিতৃ মাতৃ গুরু মরণে ও আরাধনাদিতে ঐ বচন প্রাপ্ত ব্যবস্থার অনাদর দেখিতেছি, আর যদি শিখা ব্যতিরিক্ত মুগুন ঐ বচনস্থ বপন শব্দের অর্থ হয়, তবে প্রয়াগ ও প্রায়শ্চিত্তাদি স্থলে ঐ বচন প্রাপ্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধ ব্যবহার দৃস্ট ध्छेउछू, ত হতে তান । বচনের সহিত এক বাকাত করিয়া মিতাক্ষরাকার প্রযুগে ও শিখ ব্যতিরিক্ত কেশ বপন অঙ্গীকার করেন, কিন্তু স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচাৰ্য্য প্রয়াগাদিতে বচনাস্তর প্রমাণে সৰ্ব্ব মুণ্ডন কৰ্ত্তব্য কহিয়াছেন, সেই রূপ পূর্ণাভিষেকির বিশেষ সংস্কারে শিক্ষা ত্যাগে পাপ বুদ্ধি করেন না। যদি আমাদের মধ্যে ' মস্তকের উৰ্দ্ধ ভাগে গ্রন্থি বন্ধন যোগ্য কেশের বপন কেহ করিয়া থাকেন, তদ্বিষয়ে আমরা প্রথম উত্ত্বরে ২৩৮ পৃষ্ঠে লিখিয়াছি যে এরূপ ক্ষুদ্র দোষে মহাপাতক শ্রুতি যে সকল বিষয়ে আছে তাহার ক্ষয়ের নিমিত্ত ঐ রূপ অণপায়াস সাধ্য অন্ন হিরণ্যাদি দান রূপ উপায়ও আছে ) অর্থাৎ নিন্দার্থ বচন প্রাপ্ত ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপ স্তুত্যৰ্থ বচন প্রাপ্ত ব্ৰহ্মহত্যাদির প্রায়শ্চিত্তের দ্বারা নাশকে পায় এবং ইহার প্রমাণের নিমিত্ত আমরা তিন বচন লিখিয়াছিলাম, যাহার তাৎপৰ্য্য এই ছিল যে অন্ন হিরণ্যাদি দানে ব্ৰহ্মহত্যাদি পাপক্ষয় হয় আর ক্ষণমাত্রও জীব ও ব্রহ্মের ঐক্য চিন্তা করিলে সর্ব পাপ নষ্ট হয়। তাহার প্রত্যুত্তরে ধৰ্ম্মসংহারক ১৭ পৃষ্ঠে ১৫ পংক্তি অবধি লিখেন যে “রথা কেশ চ্ছেদনে শিখা বিবহে সুতরাং শিখা বন্ধনের অভাবে সেই শিখ রহিত ব্যক্তির তৎকৃত সন্ধা বন্দনাদি কৰ্ম্মের প্রত্যহ বৈ গুণ জন্মে" পরে ১৭১ পৃষ্ঠে স্মৃতি বচন লিখিয়া ৮ পং